লাইফস্টাইল ডেস্ক : ক রো না ভা ই রাস শ্বাসতন্ত্রে সরাসরি আক্রমণ করে। বিশেষ করে হাঁপানির রোগীরা রয়েছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। শীতকাল হলেই হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যায়। যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তাদের বিপট খানিকটা বেশিই।
এই মারণ ভাইরাস আঘাত করছে ফুসফুসে। ফুসফুস বা শ্বাসনালিতে যে কোনো সংক্রমণ হওয়ার আগেই তা প্রথমে বাসা বাধে শ্বাসনালির উপরেরে অংশে। এতে গলা ব্যথা, কাশি হতে পারে। প্রচুর মিউকাস বেরোতে পারে, বসে যেতে পারে গলার স্বর।
আবার সর্দি ও কাশি হলেও অনেকসময় শ্বাসকষ্ট হয়। হাঁপানি একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ যার লক্ষণ কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ বোধ হওয়া। হাঁপানির কারণ এখনও পরিপূর্ণ শনাক্ত করা যায়নি। বংশগত কারণ এবং পরিবেশের কারণে হাঁপানি ক্রমশ বাড়ছে।
হাপানির পেছনে মূলত মাইট নামক ক্ষুদ্র কীট দায়ী। বিছানা, বালিশ, কার্পেট হলো মাইটের আদর্শ বাসস্থান। এই মাইট মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং অ্যালার্জি বাড়ায় যা অ্যাজমায় রূপান্তরিত হয়। তাই শীতকালে জানালা-দরজার পর্দা, কার্পেট, কম্বল নিয়মিত পরিস্কার করে ব্যবহার করতে হবে।
শীতে যাদের শ্বাসকষ্ট বাড়ে তাদের অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে। এসময় নিয়মিত মুখে মাস্ক পরতে হবে। এসময় সামান্য পরিমাণ ধুলাও তাৎক্ষণিক সমস্যা করতে পারে। যেমন চোখ জ্বালাপোড়া, হাঁচি-কাশি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, হাঁপানি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। আবার যাদের আগে থেকেই ফুসফুসের সমস্যা আছে, তাদের অল্পতেই সমস্যা জটিল করে তুলতে পারে।
হাঁপানি রোগটি অ্যালার্জিক ডিসঅর্ডার। হাঁপানি হওয়ার নির্দিষ্ট কারণ নেই। তবে কয়েকটি কারণে হাঁপানি হয়ে থাকে। যেমন জন্মগত অর্থাৎ পরিবারের যদি কারো থাকে তাহলে ৫০ ভাগ চান্স রয়েছে হাঁপানি রোগ হওয়ার। হাঁপানির প্রাথমিক লক্ষণগুলো হলো কাশি, শ্বাসকষ্ট, সাঁ সাঁ আওয়াজ, বুকে চাপা ভাব অনুভূত হওয়া, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া, কাশি সহজে দূর হতে চায় না।
হাঁপানি রোগের মূল কারণ হিসেবে ধরা হয় ধুলো, বিছানার পোকা, কার্পেট, পুরনো আসবাব, দূষণ, অ্যালার্জি, তামাকের ধোঁয়া থেকে। তবে এটি একটি নিয়ন্ত্রণ যোগ্য রোগ। ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, বিটা ক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজ জাতীয় খাদ্যগুলো হাঁপানির ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।
হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কৃত্রিম উপাদান, যেমন- ফুড ফ্লেবার, ফুড কালার, ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত এবং ফাস্ট ফুডগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত। বাঁধাকপি, মটরশুটি, কার্বনেটেড পানীয়, রসুন, পেঁয়াজ এবং ভাজা খাবারের মতো খাবারগুলো থেকেও শ্বাসকষ্ট বেশি হয়। দৈনন্দিন হালকা ব্যায়াম (জগিং) করলে হাঁপানির উপসর্গগুলো কিছুটা কমে।
এক কাপ দুধের মধ্যে ৪ কোয়া রসুন দিয়ে ফুটিয়ে নিন। কিছুটা ঠাণ্ডা করে ওই রসুন-দুধের মিশ্রণ খেয়ে নিন। ফুসফুসের যে কোনো রোগ নিরাময়ে এটি কাজ করে। সবুজ শাক-সবজি রয়েছে এমন ডায়েট মেনে চলুন। ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই রয়েছে এমন খাবার রোজ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
পানির পরিমাণ ঠিক রাখুন। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেই হবে। প্রয়োজনে গ্লুকোজ খান। একাধিক বার অল্প করে খান। শ্বাসকষ্ট হতে পারে এমন কোনো কাজ, কোনো খাবার এড়িয়ে চলুন। কোনো ভাবেই ঝুঁকি নেবেন না। প্রাথমিক হাইজিন মেনে চলুন সবসময়। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করুন। বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।