আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জীবনে সফল হতে কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন। পুত্রকে বাস্তব জীবনের রুঢ় এই শিক্ষা দিতে অবিশ্বাস্য এক উপায় অবলম্বন করেছেন চীনের একজন ধনকুবের। অঢেল সম্পদের মালিক হলেও আট দশজন সাধারণ মানুষের মতোই জীবনযাপন করেন তিনি। জীবনযাত্রা দেখে কোনোভাবেই বোঝার উপায় নেই, তিনি একটি মসলা কোম্পানির মালিক।
চীনা এই ধনকুবেরের নাম ঝ্যাং ইউদং। অতি সাধারণ জীবনযাপনের এই অভিনয় তিনি করেছেন নিজের ছেলেকে জীবনে কঠোর পরিশ্রমের মূল্য বোঝাতে। সন্তানের স্নাতক পর্যন্ত এই বিপুল সম্পদের কথা তার কাছে গোপন রেখেছিলেন এই ধনকুবের।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এর খবরে বলা হয়, ঝ্যাং ইউদং জনপ্রিয় স্ন্যাক্স দ্য হুনান স্পাইসি গ্লুতেন লাতিয়া ব্র্যান্ড মালা প্রিন্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ঝ্যাং ইউদং। তার ছেলের নাম ঝ্যাং জিলং। ঝ্যাং ইউদংয়ের প্রতিষ্ঠান মালা প্রিন্স বছরে ৬০ কোটি ইউয়ান মূল্যের গ্লুতেন লাতিয়াও উৎপাদন করে। টাকার মূল্যে যার পরিমাণ ৯১১ কোটি ২৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭৮৬ টাকা।
ছেলে ঝ্যাং জিলং সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তার ২০ বছর বয়স পর্যন্ত তাদের কাছে আর্থিক অবস্থা গোপন করেছিলেন তার বাবা। এ কারণে জীবনে সফল হতে কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন তিনি। তবে জিলং জানতেন, মালা প্রিন্স নামে তাদের একটি বিখ্যাত মসলা কোম্পানি রয়েছে। কিন্তু তাকে বলা হয়েছিল, প্রতিষ্ঠানটি চালাতে গিয়ে তাদের পরিবার বিপুল পরিমাণ ঋণের কবলে পড়েছে।
জিলং জানান, পিংজিয়াং কাউন্টিতে তারা সাধারণ একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। পরিবারের সহযোগিতা ছাড়াই তিনি নিজের যোগ্যতায় ভালো একটি স্কুলে ভর্তি হতে পেরেছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষে চাকরি করবেন। সেখানে বেতন হতে পারে ৬ হাজার ইউয়ান বা ৯১ হাজার ১২৫ টাকা। এ দিয়ে পরিবারের ঋণ পরিশোধে কিছুটা সহায়তা করতে পারবেন তিনি। অবশ্য স্নাতক চলাকালেই তার কাছে সত্যিটা প্রকাশ করেন তার বাবা।
যখন জিলং নিজেদের কোম্পানিটির ব্যাপারে জানতে পারেন, তখন তাদের প্রতিষ্ঠান ১ কোটি ইউয়ান বা ১৫ কোটি ১৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬৩ টাকা দিয়ে নতুন একটি ভিলা তৈরি করছিল। এ ছাড়া ওই বছর যথেষ্ট পরিমাণ মুনাফা করেছিল তাদের প্রতিষ্ঠান।
জিলং বর্তমানে তার বাবার প্রতিষ্ঠানে ই-কমার্স বিভাগে কাজ করছেন। তার বাবা ঝ্যাং ইউদং তাকে বলে দিয়েছেন, নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলেই কেবল ছেলেকে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।