আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রতি ‘সহানুভূতিশীল’ বলে অভিযোগ তুলেছে ইসরায়েল। এমনকি তাঁর পদত্যাগও চেয়েছে দেশটি। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের স্থায়ী প্রতিনিধি গিলাদ এরদান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা এক ভিডিও পোস্টে এ দাবি করেছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস নিরাপত্তা পরিষদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বলেছিলেন, ‘ইসরায়েলে হামাসের হামলাগুলো বিনা কারণে ঘটেনি বা শূন্য থেকে আসেনি।’ এ সময় তিনি বলেন, ৫৬ বছর ধরে ফিলিস্তিনিরা একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ইসরায়েল।
গিলাদ এরদান বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব শিশু, নারী ও বয়স্কদের ওপর গণহত্যা চালানোদের জন্য যে বোঝাপড়া হাজির করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলতে চাই, তিনি জাতিসংঘের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত নন। আমি তাঁকে অবিলম্বে পদত্যাগ করার আহ্বান জানাই।’
এ সময় গিলাদ এরদান গুতেরেসকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘যারা ইসরায়েলের নাগরিক ও ইহুদি জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত সবচেয়ে ভয়ংকর নৃশংসতার জন্য সহানুভূতি দেখায়, সেই সব লোকের সঙ্গে আলোচনার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’ গিলাদ আরও বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন এবং তাঁকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। আজ আমি এখানে নিরাপত্তা পরিষদের দোরগোড়ায় হামাসের হামলা হতাহত ও অপহৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবের পদত্যাগ দাবি করছি।’
গিলাদ এরদান তাঁর পোস্টে বলেন, ‘তাঁর (গুতেরেস) বিবৃতি, “হামাসের আক্রমণ বিনা কারণে ঘটেনি”—মূলত সন্ত্রাসবাদ ও গণহত্যা সম্পর্কিত তাঁর বোঝাপড়া প্রকাশ করে। কিন্তু এটা সত্যিই অকল্পনীয়, সত্যিই দুঃখজনক যে হলোকাস্টের পরে সৃষ্ট একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এ ধরনের ভয়ংকর দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে। এটি খুবই মর্মান্তিক।’
গুতেরেসকে ইঙ্গিত করে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের একজন মহাসচিব যিনি আমাদের ওপর সংঘটিত ভয়াবহ গণহত্যার ন্যায্যতা খুঁজছেন, তিনি কোনোভাবেই তাঁর পদে থাকতে পারবেন না। এখন থেকে যত দিন তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন তার প্রতিটি দিন হবে জাতিসংঘের জন্য অসম্মানজনক এবং এটি প্রতিদিন প্রমাণ করবে যে, জাতিসংঘের টিকে থাকার কোনো অধিকার প্রকৃতপক্ষে নেই!’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।