তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড হলেও এখনও পর্যন্ত বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সরকারি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়নি। তা সত্ত্বেও হায়দরাবাদ থেকে আট জন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে এসেছেন ভরতপুরের এই বিধায়ক। কেন এই অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা—তা ঘিরে এখন জল্পনা তুঙ্গে।

তৃণমূলের অবস্থানের বিরোধিতা করে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছিলেন হুমায়ুন কবীর। বর্তমানে সেই মসজিদ নির্মাণকাজ জমি–জটের মুখে। এই পরিস্থিতিতে তিনি একের পর এক হুমকি পাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন। তাইই হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি সংস্থা—পাওয়ার সিকিউরিটি সার্ভিসেস থেকে আট জন নিরাপত্তারক্ষী ভাড়া করে এনেছেন। বুধবার থেকেই তারা তার ব্যক্তিগত প্রহরার দায়িত্ব নিয়েছে।
এত রাজ্য থাকতে কেন বিশেষভাবে মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসির রাজ্য হায়দরাবাদ থেকে নিরাপত্তারক্ষী আনালেন—তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে হুমায়ুন বলেন, ‘কাউকে দিয়ে খুন করিয়ে দিতে পারে আমাকে।’ তবে কারা তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে—সেটি স্পষ্ট করেননি। তার কথায়, ‘আল্লাহ আছেন। মেরে ফেললেও মসজিদ আমি তৈরি করেই ছাড়ব।’
তাঁর বিরুদ্ধে দলের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পর হুমায়ুন দাবি করেছিলেন, নিরাপত্তা প্রত্যাহার হলে নিজের দু’টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করবেন। তবে এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে তাঁর নিরাপত্তা কমানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যে তিনজন কনস্টেবল তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তারা এখনও আছেন।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নেওয়ার বিষয়ে হুমায়ুন বলেছেন, নিয়মিত প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছি। পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের কারও কারও কাছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র আছে, কিন্তু তা অন্যের নিরাপত্তায় ব্যবহার করা যায় না। তাই সব বিবেচনা করে হায়দরাবাদের সংস্থার মাধ্যমেই নিরাপত্তারক্ষী নিয়েছি।
এর মধ্যেই তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। ওয়েইসির দল মিম–এর সঙ্গে জোট বা ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে বলে শোরগোল। সেই জল্পনা আরও উস্কে দিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেছেন, ওয়েইসি সাহেবের সঙ্গে আমি জোট করব। মিমের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। হায়দরাবাদে আমায় ডেকেছেন। আমি গিয়ে মিটিংয়ে বসব। তার ভাইয়ের সঙ্গেও আমার ভালো সম্পর্ক।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী যেসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার
বাবরি মসজিদ ইস্যু, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বৃদ্ধি, এবং নতুন দল গঠনের ঘোষণা—সব মিলিয়ে হুমায়ুন কবীরকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



