জুমবাংলা ডেস্ক : কলকাতা থেকে ঢাকা। দীর্ঘ ৩০৬ কিলোমিটার দূরত্ব পায়ে হেঁটে পাড়ি দিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ভারতীয় স্থপতি গীতা বালাকৃষ্ণাণ। বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের (BEI) পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে এই পদযাত্রা করলেন গীতা। এশিয়ার (Asia)স্থপতিদের বৃহত্তম সংগঠন আর্ক এশিয়া, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট, ভারতীয় স্থপতি ইনস্টিটিউট ও এথোস যৌথভাবে এই পদযাত্রা আয়োজন করে। তাতেই অংশ নিয়ে কলকাতা থেকে ঢাকা (Dhaka) পাড়ি দিলেন গীতা।
স্থপতি গীতা বালাকৃষ্ণান পারিবারিকভাবে দক্ষিণ ভারতীয় হলেও জন্ম কলকাতায় (Kolkata)। নেশায় তিনি একজন কোস্টাল ট্র্যাকার। ভারতের স্থপতি ইনস্টিটিউটের পশ্চিমবঙ্গ চ্যাপ্টারের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তিনি। গত ২৩ অক্টোবর কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন থেকে পদযাত্রা শুরু করেন গীতা। ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ-ভারত (Bangladesh-India)সীমান্তের বেনাপোল অতিক্রম করেন। এনিয়ে দ্বিতীয়বার এমন দীর্ঘ পদযাত্রায় অংশ নিলেন তিনি। এর আগে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপনে কলকাতা থেকে নয়াদিল্লি পর্যন্ত ১৭০০ কিলোমিটার পথ হেঁটে পাড়ি দিয়েছিলেন গীতা।
গীতা বালাকৃষ্ণাণের এবারের পদযাত্রার শিরোনাম ‘Arcause 2.0’। স্লোগান ‘Unity through Design’। যার অর্থ দাঁড়ায় স্থাপত্যের সৃজনশীলতার মাধ্যমে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একাত্ম হওয়া, যেমন করে বাংলাদেশের স্থাপত্য ও স্থপতিদের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে পায়ে হেঁটে এলেন তিনি। বাংলাদেশে আসার সময় কিছুটা দৌড়ে আর কিছু পথ হেঁটে হেঁটে পাড়ি দিয়েছেন গীতা বালাকৃষ্ণাণ। মাঝে বিভিন্ন লোকালয়ের মানুষের সঙ্গে গল্প ও কুশল বিনিময় করেছেন। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও সময় কাটিয়েছেন, স্থাপত্যের গল্প শুনিয়েছেন। পথে পথে উপভোগ করেছেন বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
কলকাতা থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে তিনি পেরিয়েছেন যশোর, ঝিনাইদহ, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর (ভাঙা), মাদারিপুর, শরীয়তপুর ও মুন্সিগঞ্জ। মোট ১৭ দিনে ৩০৬ কিলোমিটার পাড়ি দিলেন, তবে মাঝে একদিন ঝড়ের কারণে বিরতি নিতে হয়েছিল। পদযাত্রার শেষ অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের স্থপতিদের সঙ্গে নিয়ে সংসদ ভবন পর্যন্ত হেঁটে যান গীতা। বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত ইনস্টিটিউটের নেতৃবৃন্দ তাঁর সঙ্গে শেষ ১ কিলোমিটারের পদযাত্রায় অংশ নেন।
পরে সংসদ ভবনের প্লাজায় গীতা বালাকৃষ্ণাণকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউটের সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন। গীতা বলেন, ‘‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সংস্কৃতি-ঐতিহ্য গৌরবের। এদিকের আবহাওয়া, ভৌগোলিক অবস্থান, খাবার ও বসবাসের ধরন অনেকটা একই ধরনের। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সচেতনতা সৃষ্টি করে স্থাপত্য শিল্পের বিকাশ ঘটাতে পারলে পশ্চিমের দেশগুলো আমাদের অনুকরণ করবে। আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর পৃথিবী গড়তে একসঙ্গে কাজ করছি, আশা করি আমরা সফল হব।’’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।