নিজস্ব প্রতিবেদক: হেলিকপ্টারে থেকে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ সংলগ্ন এলাকার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ‘লো ফ্লাই মোড’ বজায় রেখে উড়তে থাকে।
বন্যাদুর্গত এলাকার ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন শেষে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সিলেট সার্কিট হাউসে পৌঁছেন সরকারপ্রধান। সেখানে তাঁর বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, এসএসএফের মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব, একান্ত সচিব-১, ব্যক্তিগত চিকিৎসক, এডিসি ও বিটিভির ক্যামেরাম্যান।
এছাড়া আরও আছেন তথ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রী, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, আহমদ হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, পিজিআরের কমাণ্ডার, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-১, এসএসএফের ৪ জন এবং মিডিয়া ৪ জন সদস্য।
প্রধানমন্ত্রী সকাল ৮টায় হেলিকপ্টারে করে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা করেন।
এর আগে বন্যার পানিতে বিস্তীর্ণ এলাকা সমুদ্রে পরিণত হওয়া বিশেষ করে সিলেটের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার্তদের সরিয়ে নিতে এবং অসহায় মানুষকে সাহায্যের জন্য বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে কর্তৃপক্ষ সেনা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর ইউনিটগুলিকে ডাকা হয়েছে।
শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার ১৫ থেকে ১৮ জুন বন্যা কবলিত জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ ২ কোটি ২ দশমিক ২৫ লাখ টাকা, ৪শ’ মেট্রিক টন চাল এবং ৪১,০০০ প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।