জুমবাংলা ডেস্ক: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে কিছু লোক ভাস্কর্য নিয়ে হৈচৈ শুরু করেছেন। ভাস্কর্য নিয়ে হৈচৈ করে মাঠ গরম করা যাবে না। তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা এটাও বলুক ছবি তোলা যাবে না। ছবি না তোলা গেলে পাসপোর্ট ভিসা এমনকি হজ্বও করা যাবে না। হজ্বের বিরুদ্ধে তারা ফতোয়া দিক। আসলে এগুলো হলো গুমরা কথা।
আজ বুধবার দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা শেরপরে নালিতাবাড়ী উপজেলার পলাশিকুড়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে সৌরবাতি বিতরণকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ইরানের শিয়া শহরে গালিবের ভাস্কর্য দেখে এসেছি। ইন্দোনেশিয়ায় আছে, মালয়েশিয়ায় আছে, তুরস্কে আছে। বাংলাদেশে এতোদিন পরে নুক্তা বের করে। তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, ইরান, ইন্দোনেশিয়ায় ভাস্কর্য আছে। পাকিস্তানে স্ট্যাচু আছে। পাকিস্তানের নোটে জিন্নাহ সাহেবের ফটো আছে। এসব নোট পকেটে নিয়ে তারা তাহলে নামাজ পড়ে কিভাবে? তাই এগুলো হলো গুমরা কথা। কাজেই তর্ক করে বেশী গোমরা পথে যাব না। এই সমস্ত গোমরা পথে যারা নিতে চায়, তারা মতলববাজ।
তিনি বলেন, এরা রেললাইন উঠিয়েছে। বাসে আগুন দিয়েছে। আবার এরাই এক সময় বলবে নারীদের লেখাপড়া করানো যাবেনা। এরা হলো কচ্ছপের মতো, সুযোগ বুঝে অল্প অল্প করে মুখ বের করে। তাই তিনি উপস্থিত সকলকে এদের থেকে সাবধান থাকতে বলেন। এসব গুমরা কথা বাদ দিয়ে সবাই মিলে দেশটাকে সুন্দর করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এদিকে, সন্নাসীভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সৌরবাতি বিতরণকালে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে পড়ালেখা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। কিন্তু ফলাফল ভালো করার দায়িত্ব তোমাদের। তিনি বলেন, স্কুলে বেতন দেওয়া লাগে না, বই কেনার টাকা লাগে না, মাঝে মধ্যে প্রণোদোনা দেন, কাজেই ভালো ফলাফল করার দায়িত্ব তোমাদের।
এদিন মতিয়া চৌধুরী টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের অর্থায়নে নালিতাবাড়ী উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় দ্বিতীয় শ্রেণির সেরা বিশ শিক্ষার্থীর মাঝে একটি করে ২ হাজার ৯৬০ এবং পল্লী চিকিৎসক, নরসুন্দর, জেলে ও আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাসহ ২ হাজার ৫৮১ জনের মাঝে সৌরবাতি বিতরণ করেন। এ ছাড়া জিআর প্রকল্প থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ২৭৫ বান্ডেল ঢেউটিন ও নগদ ৩ হাজার টাকা করে বিতরণ করেন।
দিনব্যাপী এসব বিতরণকালে তার সাথে ছিলেন নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম, এএসপি সার্কেল জাহাঙ্গীর আলম, পৌর মেয়র আবুবক্কর সিদ্দিক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, আ’লী নেতা গোলাম কিবরিয়া বুলু, আব্দুস সবুর সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।