বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : স্মার্টফোন রয়েছে অথচ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন না, এ রকম ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ব্যক্তিগত থেকে ব্যবসায়িক, বিভিন্ন কাজেই এখন হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার। বহু গোপনীয় তথ্য ওই অ্যাপের মাধ্যমে আদানপ্রদান করা হয়। কিন্তু কী ভাবে সুরক্ষিত রাখবেন এই সব ব্যক্তিগত তথ্য?
হোয়াটসঅ্যাপ এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বিনিময় মাধ্যম। কিন্তু অনেক সময়ে সেখানে সুরক্ষা যথাযথ থাকছে না বলে অভিযোগ উঠছে। তবে যাই হোক না কেন, আমাদের নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপের সুরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে। এজন্য বেশ কিছু পদ্ধতি মেনে চলা প্রয়োজন:
১) রেজিস্ট্রেশন কোড বা ভেরিভিকেশন ওটিপি কাউকে বলা যাবে না।
২) প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপের স্টেটিংস-এ যেতে হবে। সেখান থেকে অ্যাকাউন্ট। তাতে ক্লিক করলে চলে আসবে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন। এর পর সেখানে ক্লিক করে ‘টার্ন অন’ করে ৬ ডিজিটের পিন সেট করতে হবে। তা হলে নিরাপদ হোয়াসঅ্যাপ।
৩) ওয়েব হোয়াসঅ্যাপ থেকেও সাবধান। মাল্টি-ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। সে কারণে কয়েক সেকেন্ডের জন্য আপনার ফোনের অ্যাক্সেস এবং ইন্টারনেট সংযোগ কেউ পেলে, অন্য ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে বসে আপনার হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারি চলতে পারে। গোয়েন্দাগিরি আটকাতে, হোয়াটসঅ্যাপের উপরে থাকা ডানদিকের তিনটি পয়েন্টে ক্লিক করতে হবে। সেখান থেকে লিঙ্কড ডিভাইস-এর অপশনে যেতে হবে। সেখানে জানা যাবে, অন্য কোনও কম্পিউটারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ খোলা রয়েছে কি না। সন্দেহ হলে লগ আউট করতে হবে।
এর বাইরে আরও একটা তথ্য জানিয়ে রাখা প্রয়োজন। বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আপনাকে যদি যুক্ত করা হয় এবং আপনি যদি সেটির অ্যাডমিন থাকেন, সেই গ্রুপে কোনও নিয়মবহির্ভূত কাজ হলে তার দায় আপনি এড়াতে পারবেন না। তাই আপনি যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন রয়েছেন, সেই গ্রুপে কী ধরনের বার্তা আদানপ্রদান করা হচ্ছে, সেদিকে নজর রাখুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।