জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে অমর মজুমদার নামে এক ব্যবসায়ী ১৩০০ টাকার এলাচ ৩৯০০ টাকায় বিক্রির ঘটনা উদঘাটনের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের বিষয়ে নেতিবাচক প্রচারণা (ট্রল) করা হয়েছে। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে এ ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের বিষয়ে নেতিবাচক প্রচারণায় ক্ষোভ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘এ ধরনের নেতিবাচক প্রচারণার বিষয়টি নিত্যপণ্য ও ভোগ্যপণ্যের বাজার তদারকিতে অতিমুনাফা, মজুতদারি ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।’
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের নির্বাচনি অঙ্গীকারের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার খাত ছিল নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা। পরবর্তীতে মন্ত্রিসভা গঠন এবং সরকারের বিভিন্ন সভা, সেমিনার এমনকি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলন, র্যাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ভাষণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বারবার নিত্যপণ্যের বাজার সহনীয় রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকারের কর্তাব্যক্তিদের নানা নির্দেশনা প্রদান করলেও মাঠপর্যায়ে তার প্রতিফলন সেভাবে পরিলক্ষিত হয়নি। যার কারণে রমজানের আগের দিন ৫ টাকার লেবু ২০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। খাতুনগঞ্জে ১৩০০ টাকায় আমদানি করা এলাচ বাজারে ৩৯০০ টাকায় বিক্রির মতো হাজারো ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। আমদানিকারক অমর মজুমদারের মতো হাজার হাজার অসাধু ব্যবসায়ী লাখ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। দেশজুড়ে অতিমুনাফার প্রতিযোগিতার মহোৎসব চলছে। খাতুনগঞ্জে বিনা রসিদে বিক্রি ও ডিও ব্যবসার পরিবর্তে এখন স্লিপ ব্যবসার মতো নিষিদ্ধ জুয়াড়ি ব্যবসারও প্রসার ঘটেছে।’
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের সাহসী ভূমিকার কারণে যেভাবে খাতুনগঞ্জে এলাচের ঘটনা, চিনির ক্রয়-বিক্রয় রসিদ না থাকা, রেয়াজউদ্দীন বাজারে কোল্ড স্টোরেজে ১০০ টন খেজুর মজুত এবং পরবর্তীতে হাজারি গলিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনসুলিন বিক্রির ঘটনাসহ নানা চাঞ্চল্যকর ঘটনার উদঘাটন সম্ভব হয়েছে। জেলা প্রশাসন যদি অভিযান পরিচালনা না করতেন তাহলে এ ধরনের ঘটনা জাতির কাছে উপস্থাপন হতো না।’
বিবৃতিদাতারা হলেন ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ আবদুল মান্নান প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।