লাইফস্টাইল ডেস্ক : করোনার সময়ে স্যানিটাইজারের জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করেছে। বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে প্রতিটি মাধ্যমে স্যানিটাইজারের আবেদন বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্বাস্থ্য সচেতনতার একমাত্র মাধ্যম নয়। স্যানিটাইজার সম্পর্কে আমাদের কিছু ভুল ধারণা রয়ে গেছে। সেগুলো নিয়েই আজ আমাদের আলোচনা:
হাত ধোয়া হচ্ছে না
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ‘জার্নিপিউর’য়ের প্রধান স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. স্টিফেন লয়েড বলেন, “সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার বিকল্প হতে পারে না হ্যান্ড স্যানিটাইজার। যখন কারও কাছে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার সুযোগ নেই তখন হ্যান্ড স্যানিটাইজার মন্দের ভালো হলো ”
‘ওয়েলঅ্যান্ডগুড’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে, ডা. লয়েড পরামর্শ দেন, “সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়ার সুযোগ থাকলে সেটাই প্রাধান্য পাবে সবসময়।”
একই প্রতিবেদনে, শিকাগোর নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ইন্না হুসাইন বলেন, “হাতে দৃশ্যমান ময়লা থাকলে সেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কখনই ব্যবহার করা উচিত নয়, কোনো উপকারেও আসবে না।”
হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে না
ডা. লয়েড বলেন, “সাধারণ মানুষ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে যে ভুল প্রায়শই করে তা হলে পুরো হাতে স্যানিটাইজার না মাখা। শুধু হাতের তালু আর অপর পাশটাতেই পৌঁছায়। আঙুলের অনেক অংশ বাদ থেকে যায়। বিশেষ করে আঙুলের ফাঁকে স্যানিটাইজার ভালোভাবে প্রয়োগ করতে হবে।”
“আর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার সময় যেভাবে পুরো হাতে সাবানের ফেনা পৌঁছান, হ্যান্ড স্যানিটাইজারও সেভাবেই ব্যবহার করতে হবে।”
সাবানের চেয়ে ভালো স্যানিটাইজার নয়
স্যানিটাইজার কখনই সাবানের প্রতিপূরক না। বরং সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হয়৷ স্যানিটাইজার কখনই আপনার হাত পরিষ্কার করবে না। ধুলো বালি, ময়লার থেকে নিস্তার আপনি কখনই পাবেন না সাবান বাদে অন্যকিছু ব্যবহার করলে।
সব হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মান এক নয়
সব হ্যান্ড স্যানিটাইজারেই যে একইরকম উপাদান ব্যবহৃত হবে তা কিন্তু না। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জানায় স্যানিটাইজারে অন্তত ৬০ শতাংশ এলকোহল থাকা উচিত। কিন্তু এর মাত্রার হেরফের তো আছেই। তাই স্যানিটাইজারকে পুরোপুরি বিশ্বাস করার মতো যুক্তি তেমন নেই।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিপদ ডেকে আনতে পারে
বাজারের ভালো ভালো হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলোতে এলকোহলের মাত্রা বেশি থাকে। অর্থাৎ এই পণ্যগুলো থেকে সহজেই আগুন লেগে যেতে পারে। তাই যথেষ্ট সাবধান থাকতে হবে ব্যবহারের সময়।
বাজে রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে
আগেই বলা হয়েছে, হ্যান্ড স্যানিটাইজারে এলকোহলের মাত্রা সমান না। আবার স্যানিটাইজারে কিছু বাজে উপাদানও থাকতে পারে। এসকল বাজে উপাদান ত্বকের ক্ষতি করে৷ তাই কেনার আগে উপাদানগুলো দেখে নিশ্চিত হয়ে কিনুন।
সর্দি কাশির জীবাণু মারতে পারেনা
কাশি কিংবা হাচি দেয়ার সময় হাতে হাচি বা কাশি পড়লে প্রচুর জীবাণু চলে আসে। তখন স্যানিটাইজার খুব কাজে আসার কথা না। সর্দি কিংবা ফ্লু এর ভাইরাস মিউকাসে আবৃত থাকে। তাই এলকোহল থাকলেও রক্ষা পায়। তাই চেষ্টা করবেন সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়ার কাশি কিংবা হাঁচির পর।
হয়তো ভুলভাবে ব্যবহার করছেন
স্যানিটাইজার ব্যবহারের আগে হাত ভালোমতো ধুয়ে নিতে হয়। হাতের বালি, ময়লা পরিষ্কার না করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বোকামো৷
ঘরেই বানানো যায়
করোনার সময়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সংকট এবং দামের উর্ধ্বগতি সত্যিই চিন্তার উদ্বেগ ঘটিয়েছিলো। পরিস্থিতি এখন একটু স্বাভাবিক৷ তবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার যে ঘরেই বানানো যায় তা অনেকেই জানেন না। পদ্ধতিটাও খুব বেশি কঠিন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।