জুমবাংলা ডেস্ক : সম্প্রতি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান থাকায় বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সধারী ১৪ কোম্পানির পাস্তুরিত দুধউৎপাদন, সরবরাহ ও বিক্রি পাঁচ সপ্তাহের জন্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।তবুও থেমে থাকেনি অসাধু ব্যবসায়ীদের ঘৃণিত কর্মকাণ্ড। দুধে ভেজাল মিশিয়েই যাচ্ছেন তারা। তবে এ বিষয়ে বেশ তৎপর দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভ্রাম্যমান আদালত।
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার বেলা ১১ টা থেকে রাত ৯ টা র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের পরিচালিত অভিযানে আটক হলো ‘বারো আউলিয়া ডেইরী মিল্ক অ্যান্ড ফুড লিমিটেড’ নামক ফ্যাক্টরির ভেজাল দুধের ভাণ্ডার।
এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনায় অংশ নেয়া র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত বারো আউলিয়া ডেইরি মিল্ক এন্ড ফুড লিমিটেড ফ্যাক্টরিতে অভিযানে গেলে দেখা যায়, সেখানে ১০০ লিটার দুধের সঙ্গে পানি , স্কিম মিল্ক পাউডার এবং বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে ২৮০০ লিটার পাস্তুরিত দুধ তৈরি করা হচ্ছে।
কখনও কোনো দুধ ছাড়াই শুধু স্কিম মিল্ক পাউডার ও সোডিয়াম, লবণ, চিনি ও অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার লিটার পর্যন্ত পাস্তুরিত দুধ তৈরি করছে তারা।
এ অপরাধে ফ্যাক্টরিটির পরিচালকসহ ৮ জনকে ২ বছর, ১ জনকে ১ বছর, ৩ জনকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
এছাড়াও নগদ ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন– আবুল কালাম আজাদ শাহীন (৩২), আব্দুল আজিজ (৫৬), মো. আমিনুল হক (৫৪), মো. রায়হান মিয়া (২১), আরিফুল ইসলাম (২৭), মো. আবুল কাশেম (৩২), মো. তারেক মাহমুদ (৩০), টুটুল সরকার (২৮), রিফাত আহম্মেদ (২৩), মো. দ্বীন ইসলাম (৩৮), মো. আসিফ শেখ (১৮) ও মো. জাফর (৪০)।
শুধু তাই নয় ফ্যাক্টরিটিও সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আক্কাস আলী ও এমডি আজগর আহমেদ পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযানে সহযোগিতা করেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতর, বিএসটিআই ও র্যাব-১১ এর সদস্যরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।