বরিশালের বাকেরগঞ্জে বৃদ্ধ ক্বারী মজিদ মোল্লা ১১৮ বছর বয়সেও চশমা ছাড়া পড়েন কোরআন শরিফ, মসজিদে করেন ইমামতি।
ক্বারী মজিদ মোল্লা উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের দিয়াতলি গ্রামের মৃত হাতেম আলী মুন্সীর ছেলে ।
জাতীয় দৈনিক আমার দেশে প্রকাশিত বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি দানিসুর রহমান লিমনের করা একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ক্বারী মজিদ মোল্লা দিয়াতলি গ্রামের মৃত হাতেম আলী মুন্সী ও সকিনা বিবি দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে মেজ। বাংলা ১৩১৫ সনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার তিন ভাই বোনের দুজন মারা গেছে অনেক আগেই। আল্লাহর রহমতে তিনি মোটামুটি ভালো আছেন।
নামাজের সময় হলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন নামাজের উদ্দেশে। পায়ে হেঁটে প্রতিদিন মসজিদে গিয়ে করেন ইমামতি। তিনি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় এবং চশমা ছাড়াই পড়েন কোরআন শরিফ।
এখনো তিনি নিজের পরিবারের জন্য এক থেকে দেড় কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে কলসকাঠী গিয়ে বাজার করেন। গল্পে মাতেন নাতিদের সঙ্গে, পড়ে শোনান কোরআনের আয়াত।
ক্বারী মজিদ মোল্লা বলেন, ছাত্রজীবনে কুমিল্লা হজরত ইব্রাহিম কারী মাদরাসা থেকে ক্বারী পাস করে চলে আসে নিজ এলাকায়। বাড়ির পার্শ্ববর্তী ঢাপরকাঠী গ্রামের একটি মসজিদে ইমামতি শুরু করেন।
তার চার মেয়ে ও দুই ছেলে। মসজিদে ইমামতি করে অর্থের অভাবে ছেলে-মেয়েদের তেমন লেখাপড়া করাতে পারেননি। চার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেরা ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করে। ছেলেদের মোটামুটি আয়ে দুই পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনি নিয়ে চলে তার সংসার।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি মসজিদটি নির্মাণ করেছেন। আল্লাহ যাতে মসজিদটিকে কবুল করেন। জামাতে নামাজ পড়াতে তিনি আনন্দ পান। তবে আগের মতো এখন আর চলাফেরা করতে পারেন না। বাড়ি থেকে মসজিদের দূরত্ব প্রায় দুই থেকে তিনশ মিটার।
স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, ১১৮ বছর বয়সি মজিদ মোল্লা চশমা ছাড়াই সবকিছু স্পষ্ট দেখতে পান। বয়সের ভারে নুয়ে লাঠিতে ভর করে এখনো ইসলামের আলো ছড়াচ্ছেন গ্রামে ঘুরে ঘুরে।
কলসকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরিফুল করিম দুলাল জানান, আবদুল মজিদ ক্বারী এলাকার সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তার জন্য কিছু একটা করার চেষ্টা করব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।