জুমবাংলা ডেস্ক: কেডিএস গ্রুপের সাবেক কর্মকর্তা মুনির হোসেন খানের বিরুদ্ধে ১২ মাসে ২৫টি মামলা করার নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামে। ঢাকা-চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানা ও আদালতে মামলাগুলো করেছেন কেডিএস গ্রুপের বিভিন্ন কর্মকর্তা। কিছু মামলায় মুনিরের পিতা, স্ত্রী ও ছোট ভাইকেও আসামি করা হয়।
পরিবারের দাবি, চাকরিতে থাকার সময় মামলা দূরের কথা, কোনো অভিযোগও ওঠেনি মুনিরের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করার পুরস্কার হিসেবে তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে অন্য কম্পানিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিড়ম্বনা।
২০১৮ সালের ২০ জুন কেডিএস গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান কেওয়াই স্টিলের পরিচালক পদ থেকে ইস্তফা দেন মুনির। এর ৫ মাস পর থেকেই শুরু হয় একের পর এক মামলা। প্রতিটি মামলাই হয়েছে দুই থেকে ১০ দিনে ব্যবধানে। এমনকি একদিনে দুটি মামলাও হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর মুনিরের বিরুদ্ধে গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে প্রথম মামলাটি হয় নগরীর বায়েজিদ থানায়। সর্বশেষ মামলাটি হয়েছে গত ১৫ নভেম্বর। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২৪টি মামলা হয়েছে যার ২০টিতে জামিন পেয়েছেন মুনির। একের পর এক মামলার কারণে গত এক বছর ধরে কারাগারেই কাটাতে হচ্ছে তাঁকে।
মাত্র এক বছরের ব্যবধানে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২৫ মামলার বিষয়টিকে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে দেখছেন মুনিরের আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যরা। এসব মামলা মুনির ও তার পরিবারকে হয়রানি করার জন্য করা হয়েছে বলে মনে করেন তারা।
মুনিরের পিতা মোয়াজ্জেম হোসেন খান বলেন, সবগুলো মামলার অভিযোগ প্রায় একই ধরনের। অভিযোগ যদি সত্য হতো তাহলে তারা এত মামলা না করে সব অভিযোগ একই মামলায় দিতে পারত। কিন্তু সেটা না করে একটার পর একটা মামলা করেছে শুধু আমাদের হয়রানি করার জন্য। তিনি বলেন, মুনিরের বিরুদ্ধে গাড়ি চুরির অভিযোগ এনে প্রথম মামলাটি করা হয় ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর। ওই দিন মুনির ছিল ঢাকায় আর গাড়ির চুরির ঘটনা ঘটেছিল চট্টগ্রামে। আমরা প্রমাণ হিসেবে আদালতে ভিডিও ফুটেজ দিয়েছি।
মুনিরের আইনজীবী বলেন, ১০/১১টি মামলার অভিযোগ হুবহু একই রকম। এতে বলা হচ্ছে মুনির সাপ্লায়ারের কাছ থেকে গোপন কমিশন নিয়েছে ‘অ্যাটাচড কমিশন এগ্রিমেন্ট’-এর মাধ্যমে। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়া। সব সাপ্লায়ারের সাথে এগ্রিমেন্ট ফরম্যাট একইরকম হতে পারে না। বায়েজিদ থানার একটি মামলায় মুনিরের বৃদ্ধ পিতা ও ছোট ভাইকে আসামি করা হয়, যাদের সাথে কেডিএসের কোনো সম্পর্কই নেই। মুনিরের চাকরির সঙ্গে তার স্ত্রীর কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু তাকেও একটি মামলায় আসামি করা হয়।
তিনি আরো বলেন, মামলাগুলো পর্যবেক্ষণ করে আদালত প্রত্যেকবারই বুঝতে পারে এগুলো বানোয়াট। এ কারণে জামিনও মঞ্জুর করেন। কিন্তু পরবর্তীতে বাদী একইরকম আরো একটি মামলা করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তাদের উদ্দেশ্য যে কোনো প্রকারে মুনিরকে জেল থেকে বের হতে না দেওয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।