১৩ সেপ্টেম্বর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু, জেনেনিন বিস্তারিত

জুমবাংলা ডেস্ক: দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার মধ্যদিয়ে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি যুদ্ধ শুরু হচ্ছে বলে জানা গেছে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটি মূলত ভর্তির তারিখ চূড়ান্ত করে। সোমবার রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের সম্মেলন কক্ষে পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে এ সভায় ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা ও আনুসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয় এবং ভর্তির সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়।

আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে দেশের পাঁচটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি সংশ্লিষ্ট অপর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩০ নভেম্বর এ পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করা হলেও সোমবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে পরিষদের বৈঠকে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে আগামী ১৩, ১৪, ২০, ২১, ২৭, ২৮ সেপ্টেম্বর। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪, ২০, ২১, ২৯ সেপ্টেম্বর, সাভারে অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর তাদের ভর্তি পরীক্ষার জন্য সময় দিয়েছে। দেশের প্রাচীন বড় বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ থেকে ২২ অক্টোবর বিভিন্ন অনুষদে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬ থেকে ৩১ অক্টোবর, কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ থেকে ৮ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষা হবে বিভিন্ন অনুষদের। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বিভিন্ন অনুষদে বেসামরিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৬ অক্টোবর, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ থেকে ৯ নভেম্বর, ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭ থেকে ২১ নভেম্বর, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ ও ১৯ অক্টোবর, দেশের উত্তরাঞ্চলে রংপুর অবস্থিত অন্যতম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হবে ১০ থেকে ১৪ নভেম্বর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ নভেম্বর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ ও ৯ ডিসেম্বর, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৯ নভেম্বর, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ ডিসেম্বর।

এ ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর ভর্তি ফরম বিতরণ হবে এবং ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর আবেদন গ্রহণ করা হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধীন কলেজগুলোতে আলাদা ভর্তি পরীক্ষা হয় না। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হয়।

দেশের ৫টি বিশেষায়িত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষা হবে ৫ অক্টোবর, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ অক্টোবর, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ অক্টোবর, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ অক্টোবর এবং রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হবে ১৫ নভেম্বর।

দেশের ৮টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দিনাজপুরে অবস্থিত হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা হবে ২ থেকে ৫ ডিসেম্বর, সিলেটের হযরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬ অক্টোবর, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১ ও ২২ নভেম্বর ,পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ ও ১৬ নভেম্বর, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ ও ২১ ডিসেম্বর, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ ও ২ নভেম্বর, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ ও ২৩ নভেম্বর এবং রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ ডিসেম্বর।

এ বছর থেকে কৃষি বিষয়ক ও কৃষি নির্ভর উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশে ৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩০ নভেম্বর।

এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- ময়মনসিংহের শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

গত ১৭ জুলাই এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।