স্পোর্টস ডেস্ক : ’হাল ছেড় না বন্ধু।’ শুধু দৃঢ়তা নিয়ে, সংকল্প নিয়ে লক্ষ্যে এগিয়ে চলো। শিরোপা জিততে না পেরে আর্জেন্টাইন ভক্তদের সমালোচনায় বিদ্ধ হয়ে অবসর নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ওই অভিমান ভেঙে ফিরেছিলেন দেশকে শিরোপা জেতানোর প্রত্যয় নিয়ে।
২০০৫ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয় সোনালি লম্বা চুলের প্রতিভাবান মেসির। ২০২১ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের জার্সিতে শিরোপাহীন ছিলেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে তার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। তবু আশা নিয়ে খেলে গেছেন তিনি। বার্সার কাণ্ডারি হয়তো বুঝে গিয়েছিলেন, তিনি না থাকলে আলবিসেলেস্তেদের টিমটিম করে জ্বলা শিরোপার স্বপ্নও নিভে যাবে।
তরুণদের নিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করে মেসি গত বছর কোপা আমেরিকার দিয়ে শিরোপা খরা কাটান। তাও যেনতেনভাবে নয়। ল্যাতিনের সেরা দল, তার আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে তাদের মাঠে ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করেন লিও ও তার দল।
ওই জয় তাকে একই বছর আরেকটি শিরোপার সামনে দাঁড় করায়।প্রয়াত ডিয়াগো ম্যারাডোনার স্মরণে ল্যাতিন অঞ্চলের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা কনমেবল ও ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা উয়েফা লা ফিনালিসিমা আয়োজনে সম্মত হয়। ল্যাতিন সেরা নাকি ইউরোপ, ওই বিতর্কের সমাধানের ম্যাচে মেসির দল আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইতালিকে।
গোল না করলেও লিও মাঠ দাপিয়ে খেলেছেন। জোড়া গোলে সহায়তা দিয়েছেন। ১৬ বছর শিরোপা না জেতা লিও এক বছরের মধ্যে জিতেছেন ডাবল। এবার তার সামনে ট্রেবলের পালা। কাতার জয়ের পালা। আকাশি-নীল জার্সিতে বহুল কাঙ্খিত বিশ্বকাপ শিরোপা উচিয়ে ট্রেবল জিততে পারবেন কি-না সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। অপেক্ষা মাত্র কয়েক মাসের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।