মহাকাশ গবেষণায় ২০২৪ সাল ছিল বেশ ঘটনাবহুল। প্রযুক্তিগত সক্ষমতার কারণে মানুষ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও ভালো করে দেখতে পারছে মহাবিশ্ব। জানতে পারছে মহাকাশের অজানা ইতিহাস, মিলছে জটিল সব প্রশ্নের উত্তর। মহাকাশ নিয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে এ বছর।
ইউরোপায় ক্লিপার মিশন
বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপা জীবনের সন্ধানে নভোযান পাঠিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। গত ১৪ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে নভোযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, ইউরোপায় গভীর সাগর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ইউরোপার পৃষ্ঠের নিচে রয়েছে পুরু বরফের আস্তরণ। দেখতে অনেকটা পৃথিবীর মেরু অঞ্চলের বরফাবৃত সাগরের মতো। বরফের ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে গভীর খাদ। তাই বিজ্ঞানীদের ধারণা, সেখানে থাকতে পারে প্রাণও। এ মিশনের আরেকটি লক্ষ্য হলো, ইউরোপায় জীবনধারণে সক্ষম জায়গা থাকলে তা খুঁজে বের করা। সে জন্য বরফ পৃষ্ঠ পরীক্ষা করা হবে এ মিশনে।
আদিম গ্যালাক্সির সন্ধান পেয়েছেন বাংলাদেশি গবেষক
সম্প্রতি জেমস ওয়েব নভোদুরবিন শিশু মিল্কিওয়ের মতো ভরের আদিম একটি গ্যালাক্সি শনাক্ত করেছে। এ গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশি গবেষক লামীয়া মওলা। এ গবেষণার মাধ্যমে আমাদের গ্যালাক্সিটিকে আরও ভালোভাবে জানার সুযোগ তৈরি হয়েছে। গ্যালাক্সিটির জন্ম বিগ ব্যাংয়ের ৬০ কোটি বছর পর। ১০টি উজ্জ্বল নক্ষত্রপুঞ্জ বা স্টার ক্লাস্টারের সমন্বয়ে গঠিত এ গ্যালাক্সির নাম দেওয়া হয়েছে ফায়ারফ্লাই স্পার্কল।
জেমস ওয়েব নভোদুরবিনের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে বিস্ময়কর এ গ্যালাক্সি শনাক্ত করেছেন বাংলাদেশি গবেষক লামীয়া মওলা ও নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির নাসা হাবল ফেলো কার্তিক আইয়ারের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী। এ গবেষক দলের সঙ্গে আরও ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান।
স্পেস এক্সের নতুন ইতিহাস
রকেট নিরাপদে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে—বাক্যটি প্রায়শই শোনা যায়। তবে ২০২৪ সালে প্রথমবার রকেট নিরাপদে লঞ্চপ্যাডে অবতরণ করেছে। ১৩ অক্টোবর, নিরাপদে অবতরণ করেছে স্পেস এক্সের স্টারশিপ নভোযান। আসলে অবতরণের চেয়ে ‘ক্যাচ ধরা’ শব্দটির সাহায্যে বেশি ভালোভাবে কথাটা বোঝানো যায়। সরাসরি লঞ্চপ্যাডের রোবটিক বাহুর মুঠোয় বসে গেছে রকেটটি। এরপর ধীরে ধীরে বসে পড়েছে লঞ্চপ্যাডের নির্দিষ্ট স্থানে। মানে, উৎক্ষেপণের সময় প্যাডে রকেট যেভাবে থাকে, ঠিক সেভাবে আবার জায়গা মতো বসেছে। আগে বুস্টার রকেটগুলো মূল নভোযানকে মহাকাশে ছুড়ে দিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।