২০৩৪ বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসতে যাচ্ছে সৌদি আরবে। যার জন্য অনেক আগে থেকেই মেগা পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম এই প্রাণকেন্দ্র। তারই অংশ হিসেবে সৌদি ক্লাব ফুটবলকে জনপ্রিয় করতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমা ও নেইমার জুনিয়রের মতো ইউরোপ কাঁপানো তারকাদের মোটা বেতনে নিয়ে যায়। যদিও এরই মাঝে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে আল-হিলাল ছেড়ে দিতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে এতদিন নীরবই ছিলেন নেইমার। এবারও তিনি সৌদি ফুটবল এবং আসন্ন ২০৩৪ বিশ্বকাপ নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষা দেখিয়েছেন ফুটবল বিশ্বকে। সৌদিতে খেলার অভিজ্ঞতা ও থাকার জন্য ভালো জায়গা উল্লেখ করলেও, তিনি আল-হিলালে থাকবেন কি না সেই প্রসঙ্গে অবশ্য কথা বলেননি। তবে ক্লাবটিতে অনেক সম্মানিত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন নেইমার।
এক বছর পর ইনজুরি থেকে থেকে ফিরে সম্প্রতি আবারও এক মাসের চোটে ছিটকে গেছেন এই ব্রাজিলিয়ান। কেবল সাতটি ম্যাচ খেললেও আল-হিলালে যুক্ত হয়ে সুখকর অভিজ্ঞতাই হয়েছে নেইমারের, ‘এখানে খেলার সুযোগ পাওয়া এবং এমন দেশে বাস করা মানুষের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি সবসময়ই বলি এখানে আমি অনেক বেশি সম্মান পেয়েছি। আমি অনেক খুশি এবং নিশ্চিত যে এই অভিজ্ঞতা আরও সুখকর হবে। আশা করি অন্য তারকারাও এখানে খেলতে আসবে, এখানে খেলার অভিজ্ঞতা তাদের নেওয়া উচিৎ।’
মূলত সৌদি কর্তৃপক্ষের আহবানে বিশ্বকাপের জন্য তাদের প্রজেক্ট দেখতে গিয়েছিলেন নেইমার। যা দেখে ৩২ বছর বয়সী এই তারকার ভাষ্য, ‘সৌদি আরবের পুরো আয়োজন দেখে আমি আশ্চর্য্য হয়েছি। বাইরে থেকে আমরা দেশটি সম্পর্কে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি লালন করি। কিন্তু এখানে আসার পর সেই ধারণা বদলে যাবে, খুবই ইতিবাচক পরিবেশ, যা আমি পছন্দ করি। তাই অন্যদের উচিৎ সৌদি সংস্কৃতি জানা। এখানে থাকতে পেরে আমি এবং আমার পরিবারও অনেক খুশি। ইতোমধ্যে এখানে আসার এক বছর হয়ে গেছে এবং আমি এখানে স্থায়ী।’
ইতিহাসে প্রথমবার ফুটবল বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৪৮টি দল খেলবে ২০৩৪ বিশ্বকাপে। সৌদি আরব একাই ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে। সৌদির ৫টি শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো, এর মধ্যে ৮টির অবস্থান সৌদির রাজধানী রিয়াদে। ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু করেছিল সৌদি। বিশেষত ফুটবলে বিশাল বাণিজ্যের বাজার ধরতে তারা পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড খুলেছিল। তারই অধীনে নেওয়া হয় নেইমার-রোনালদোদের।
বিশ্বকাপ বিডের দলিল অনুযায়ী, সৌদি আরবের প্রস্তাবিত শহরগুলোর মধ্যে রিয়াদ ছাড়াও আছে জেদ্দা, আল খোবার, আবহা ও ৫০০ বিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের নতুন শহর নিওম। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, রিয়াদেই থাকবে ৮টি স্টেডিয়াম। এর মধ্যে একটি নতুনভাবে নির্মাণের অপেক্ষায় থাকা ‘কিং সালমান স্টেডিয়াম’। এ স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা থাকবে ৯২ হাজার। এখানেই হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।