স্পোর্টস ডেস্ক : সম্প্রতি অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জয়ের অন্যতম নায়ক মোহাম্মদ শাহিন আলম। ইতিমধ্যেই নামের সাথে ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ তকমা পেয়েছে। জানা গেছে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের যমুনা পাইক পাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়ি।
তিন ভাই বোনের মধ্যে মোহাম্মদ শাহিন আলম সবার ছোট। বাবা শাহাদত আলী আগে অন্যের জমিতে কৃষি কাজে মজুরি দিয়ে যা পেতো তাই দিয়ে সংসার চলাতো। এখন সে বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছে। আর দিন মজুরি দিতে পারে না।
দারিদ্রতা মোহাম্মদ শাহিন আলমের প্রতিভাকে দমিয়ে রাখতে রাখতে পারেনি। ২০ টাকার একটি ফরম তার ভাগ্য ফিরিয়ে দিয়েছে। ২০১৬ সালে সে এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে কুড়িগ্রাম স্টেডিয়াম এসে ২০ টাকা দিয়ে বিকেএসপির একটি ফরম কিনে নিয়ে জমা দেয়। তার দুর্দান্ত বোলিং দেখার পর বিকেএসপি তাকে দিনাজপুরে ডেকে নেয়। এরপর তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সে অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৭, অনুর্ধ্ব-১৮ এবং অনুর্ধ্ব-১৯ এ ক্রিকেট খেলে সবার মন কেড়ে নেয়।
ডাক পড়ে যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মূল দলে। কিন্তু দুর্ভাগ্য মুল একাদশে সে খেলতে পারেনি। তারপরও একাদশে খেলতে না পারার দরুন তার মনের ভিতর জন্মেছিল দুঃখ। কিন্তু যখন ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ যুব বিশ্বকাপের ট্রফি ছিনিয়ে নেয়; তখন সে ওই দুঃখ ভুলে গিয়ে আনন্দের সাগরে গা ভাসিয়ে দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।