দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পর গণমাধ্যমের সামনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই সাক্ষাৎকারে তিনি দলের আগামী নির্বাচনের কৌশল, আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও নেতাকর্মীদের বিচার, এবং বাংলাদেশের নির্বাচনকেন্দ্রীক রাজনীতিসহ বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়ে অবস্থান প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মির্জা গালিব তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারটি বিশেষভাবে মনোযোগসহ দেখেছেন। তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ মন ছুঁয়ে গেছে, আবার কিছু বিষয় নিয়ে তারেক আরও খোলামেলা বক্তব্য রাখবেন বলে আশা করেছিলেন।
গালিব বলেন, তারেকের শব্দচয়ন ও ভঙ্গি প্রশংসনীয়; বিশেষ করে ফার্স্ট পারসনের (আমি, আমার দল) অনুপস্থিতি এবং জনগণ, দেশ শব্দের ব্যবহার।
তিনি আরও মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগের বিচারের বিষয়ে তারেকের স্পষ্টবাদী অবস্থান নজরকাড়া; ‘আওয়ামী লীগের সময়ে তিনি এবং তার পরিবার যে জুলুমের মধ্য দিয়ে গেছেন, তা ইমোশনালি ছুঁয়ে গেছে। এই অভিজ্ঞতাকে জনগণের সাথে মিলিয়েছেন।’
তবে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে তারেক কিছুটা এড়িয়ে গেছেন বলে মনে করেন গালিব। এছাড়া বিএনপির সাংগঠনিক সংস্কার বিষয়ে তারেকের বক্তব্য স্পষ্ট নয়, এবং তিনি মনে করেন, দল হিসেবে শক্তিশালী না হলে সুশাসন দেওয়া বিএনপির জন্য কঠিন হবে।
গালিবের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, তারেক সরকারে এলে আইনশৃঙ্খলার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে আগ্রহী মনে হলেও অভ্যন্তরীণ দলীয় সংস্কার প্রায়োরিটি হিসেবে পর্যাপ্ত গুরুত্ব পাননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।