জুমবাংলা ডেস্ক: অর্ধেক ভাড়া দিতে চাইলে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া বাসচালকের সহকারীকে গ্রেফতার ও যানবাহনে অর্ধেক ভাড়া নির্ধারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে আজকের সড়ক অবরোধ তুলে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার দুপুর পৌনে ১২টার পর দুদফা দাবি পূরণের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী। অন্যথায় আমরা আবার আন্দোলনে নামব। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তারা যেন খারাপ আচরণ না করে। পরে তারা বকশীবাজারের সড়ক অবরোধ তুলে নেন।
এর আগে সকাল ১০ টার দিকে বাসে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ পাস ভাড়া নির্ধারণ ও ধর্ষণের হুমকিদাতার বিচার দাবিতে রাজধানীর বকশীবাজার মোড়ে সড়কে অবস্থান নেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন আরও কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। অবরোধের কারণে চানখাঁরপুল থেকে বকশীবাজার, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ও বুয়েট অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।
পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের লোকজন অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা সকাল পৌনে ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী শবনম হাসনাত বলেন, আমরা সারাদেশে বাসে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছি। এছাড়া বাসে নারীদের নিরাপত্তার দাবি তুলছি। প্রশাসনের অনুরোধে আজকে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলেও আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা পুনরায় আন্দোলনে নামব।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, একটা মেয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হলো, মাঝেমাঝেই লাঞ্ছিত করে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। আমরা কেন এটা মানব? কোনো শিক্ষার্থীর ক্ষতি হলে কে দায় নেবে? তিনি আরও জানান, দাবি আদায় না হলে তারা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবে না।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বাসের হেলপাররা ভাড়াও বেশি রাখে, আবার নানাভাবে হেনস্থাও করে প্রতিনিয়ত। আমাদের কলেজের সামনে থেকে বাসে ওঠাতে চায় না। গেট বন্ধ করে রাখে। এসব কারণেই আমরা আন্দোলনে নেমেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিকুন নাহার বলেন, কলেজের একজন শিক্ষক ফোনে আমাকে ছাত্রী হেনস্তার বিষয়টি জানিয়েছেন। তারা কলেজ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। আমরা চাই না তারা ঝামেলা করুক। আমরা ঠিকানা বাসের মালিককে আসতে বলেছি। এটা কলেজের কোনো ঝামেলা না। বাইরের বিষয়। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। বাইরে থেকে কেউ আমাদের কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করছে বলে ধারণা করছি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার কাউন্সিলর ওমর বিন আজিজ বলেন, আমরা কলেজ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ক্যাম্পাসে নিয়ে এসেছি। তাদের যৌক্তিক দাবি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সে লক্ষ্যে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।
এখন থেকে অর্ধেক ভাড়া নিবে রাইদা, ৫০টি বাস আটক করল শিক্ষার্থীরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।