আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবেররা যে কত সামান্য পরিমাণ আয়কর দিয়েছেন, সে বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে একটি সংবাদ ওয়েবসাইট। তারা দাবি করছে, দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সেবা ব্যবস্থার নথি থেকে তারা এ তথ্য পেয়েছে।
প্রোপাবলিকা সংবাদ ওয়েবসাইটটি বলছে, বিশ্বের কয়েকজন শীর্ষ ধনীর আয়কর রিটার্ন তারা দেখেছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন, জেফ বেজোস, ওয়ারেন বাফেট ও ইলন মাস্কও।
এ ওয়েবসাইটে অভিযোগ করা হয়েছে, অ্যামাজনের জেফ বেজোস ২০০৭ এবং ২০১১ সালে কোনো আয়করই দেননি। আবার টেসলার মালিক ধনকুবের ইলন মাস্ক ২০০৮ সালে কোনো আয়কর দেননি।
অবশ্য হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র এ তথ্য ফাঁস করাকে ‘অবৈধ’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং এফবিআই ও কর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। খবর বিবিসি বাংলার
যদিও প্রোপাবলিকা বলছে, কোটিপতি ধনকুবেরদের দেওয়া আয়কর বিষয়ে তাদের বর্ণনায় ‘রাজস্ব বিষয়ক অভ্যন্তরীণ বিপুল তথ্য ভাণ্ডার’ তারা বিশ্লেষণ করে দেখেছে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহে আরও বিস্তারিত তথ্য তারা প্রকাশ করবে।
বিবিসি এ দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে এ অভিযোগ ফাঁস করা হয়েছে এমন একটা সময়ে, যখন বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের কর দেওয়া বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ক্রমেই বাড়ছে এবং ধনী এবং দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রোপাবলিকা বলেছে, আমেরিকার ২৫ জন সবচেয়ে বিত্তশালী কর দেন খুবই কম। গড় হিসাবে তাদের মোট আয়ের মাত্র প্রায় ১৫.৮ শতাংশ। এক্ষেত্রে আমেরিকার মূলধারার বেশির ভাগ কর্মীর চেয়ে তাদের দেওয়া করের পরিমাণ অনেক কম।
ওয়েবসাইটের সিনিয়র রিপোর্টার এবং সম্পাদক জেস আইসিঙ্গার বিবিসির টুডে প্রোগ্রামকে বলেছেন, ‘আমরা বিস্মিত হয়েছি দেখে, আপনি যদি কোটিপতি হন, তাহলে আপনার করের অংক কীভাবে শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব। সত্যি বলতে কী, একজনের দেয় করের অংক ‘শূন্য’ হতে পারে, এটাতে আমরা অবাক হয়ে গেছি। যারা অতিশয় ধনী ব্যক্তি, তারা পদ্ধতিকে কীভাবে পুরোপুরি আইনি পথে পাশ কাটিয়ে যেতে পারেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।