রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত পদে ভোটযুদ্ধে নামেন ২ সতীন।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। পরে ভোট গণনা শরু হয়। তবে ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
জানা যায়, মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ১৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে হরিরামপুর গ্রামের মীর শওকত আলীর দুই স্ত্রী অংশগ্রহণ করেন। দুই স্ত্রীর মধ্যে বড় স্ত্রী রওশনারা খাতুন (কলম) এবং ছোট স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (সূর্যমুখী) প্রতীক নিয়ে সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
দীর্ঘদিন তারা নিজ নিজ সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণা চালান। সোমবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।
এ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৪৫০ জন। মনিগ্রাম ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া, বিনোদপুর, মনিগ্রামের কিছু অংশ, হোসেনপুর, আটঘরি, হাবাসপুর গ্রাম নিয়ে ৪, ৫ ও ৬ ওয়ার্ড নম্বর গঠিত।
এ ওয়ার্ডের বিনোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্র হিসেবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে রওশোনারা খাতুন বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব বলে মাঠে কাজ করি। পরে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি।
অপর দিকে আনোয়ারা বেগম বলেন, আমিও দীর্ঘদিন থেকে মাঠে কাজ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি।
এ বিষয়ে রওশোনারা খাতুন ও আনোয়ারা বেগমের স্বামী মীর শওকত আলী বলেন, আমি উভয়কে নির্বাচন করতে নিষেধ করেছিলাম কিন্তু তারা কেউ আমার কথা না শুনে নির্বাচন করছে। আমি কোনো দিকে নেই। পাস করলেও ভালো না করলেও ভালো।
হরিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার আবদুল জব্বার প্রামাণিক বলেন, ভোট সুষ্টু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংরক্ষিত আসনে এ দুই প্রার্থী আপন সতীন জানা ছিল না। পরে জানলাম তারা সতীন। তবে ভোট গণনা শেষে জানা যাবে ফলাফল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।