জুমবাংলা ডেস্ক : কথায় আছে, মাছে-ভাতে বাঙালি। একবেলা মাছ-ভাত ছাড়া যেন বাঙালিরা চলতেই পারে না। কিন্তু মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার আবির চাঁন ৩০ বছর পযর্ন্ত ভাত খাচ্ছেন না। তার বয়স ৮০ বছর। বাড়ি উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের সাভার গ্রামে। পেশায় তাঁত শ্রমিক।
আবির চাঁন দাবি করেন, জন্মের ৫০ বছর পযর্ন্ত ভাত খেয়েছেন। তারপর ৩০ বছর কোনো দিন ভাতের থালা হাতে নেননি। এমনকি কেউ বসে ভাত খেলে তার পাশেও যাননি। কেউ দাওয়াত দিলে আগেই বলে দিতেন ভাত খাবেন না। তার জন্য রুটি তৈরি করে রাখতে হবে।
তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘ছোটবেলায় স্বজনরা ভাত সামনে দিলেও খেতে মন চাইত না। সামান্য খেলেও বমি হয়ে বের হয়ে যেত। তারপরও কষ্ট করে খেতাম। এভাবে ৫০ বছর পর্যন্ত খেয়েছি। এরপর থেকে আর ভাত খাওয়া হয়নি। আমার তিন বেলার খাবারের তালিকায় রয়েছে রুটি, মাংস, মাছ, দুধ। এখনো আমার সামনে কেউ ভাত খেলে সরে যাই।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান বলেন, ছোটবেলা থেকে জানি আবির চাঁন ভাই ভাত খেতে চাইতেন না। রুটি খেয়ে থাকতেন। তাই সবাই ‘রুটি আবির চাঁন’ বলে চিনেন।
প্রতিবেশী দাউদ হাসান বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আবির চাঁন চাচা ভাত খায় না। ছোটবেলায় তার সামনে ভাতের থালা দিলে রাগ করতেন। একদিন মুখে ভাত দেয়ার পরে সে বমি করে। কিছুক্ষণ পর স্বভাবিক হয়। সেই থেকে আমরা তাকে অন্য খাবার খেয়ে বড় হতে দেখেছি।’
বরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য রমজান আলী বলেন, ‘আমি অনেক আগে থেকেই আবির চাঁনকে চিনি। অন্য খাবার খেয়ে জীবনযাপন করে। তবে সে রুটি বেশি পছন্দ করে। তিনি আমাদের কাছে এলে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মামুন উর রশিদ বলেন, ‘যদিও আমাদের দেশের মানুষ ভাত বেশি খায়, একটা মানুষ ভাত না খেয়েও অন্য খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে। তবে মাঝে মধ্যে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেতে হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।