আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক ভারতীয় দম্পতি মাসিক ৬০ হাজার টাকা বেতনের কথা বলে বাংলাদেশ থেকে তিন নারীকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে এসেছিল।
প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য রাজেশ (৩১) এবং তার স্বামী মালকার সাভলারাম আনান্ত (৫১) নামে ভারতীয় ওই দম্পতির বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসার অভিযোগ আনা হয়েছে।
নারী পাচার ও নিপীড়নের অভিযোগে সিঙ্গাপুরে এই দুই ভারতীয় নাগরিককে সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। নতুন মানবপাচার আইনের আওতায় এটিই প্রথম মামলা। খবর ডয়েচে ভেলের।
২০১৫ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে মানবপাচার আইন কার্যকর হয়েছে৷ এরপর প্রথম যে ঘটনাটি সামনে এসেছে, তাতে উঠে এসেছে তিন বাংলাদেশি নারীর কথা।
এক ভারতীয় দম্পতি বাংলাদেশ থেকে তিন নারীকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে এসেছিল। এরপর তাদের পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিয়ে আটক করে রাখা হয়৷ ভারতীয় দম্পতির একটি নাইটক্লাব রয়েছে সিঙ্গাপুরে, যেখানে প্রতিদিন বিনা পারিশ্রমিকে নাচতে বাধ্য করা হতো এই নারীদের৷ তাদের মধ্যে একজনকে জোর করে দেহ ব্যবসাতেও নামানো হয় বলে অভিযোগ।
তিন নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আগামী ১৯ ডিসেম্বর ঐ ভারতীয় দম্পতির সাজার মেয়াদ ঘোষণা করা হবে৷ এতে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল ও বেত্রাঘাতের সাজা দেয়া হতে পারে।
মানবপাচার বিরোধী সংগঠনগুলির মত, এই দৃষ্টান্তমূলক সাজার ফলে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ ও মানবপাচারের সাথে জড়িতদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে৷
সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে মানবপাচার বিরোধী সংগঠন হাগার ইন্টারন্যাশনালের প্রধান মাইকেল চিয়াম জানান, চাকরিদাতাদের কখনোই ভাবা উচিত নয় যে মানবপাচার ও এমন অপরাধ করে তারা আইনকে ফাঁকি দিতে পারবে৷
একই আইনের আওতায় আরো দুটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।