আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাজস্থানের এক নারী দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে চার বছর আগে দূর সম্পর্কের দেবরের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। দেবরের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়াই কাল ওই নারীর। সেখান থেকে অপহরণ করা হয় ওই নারী ও তার ছেলে-মেয়েদের।
এরপর ওই নারী ও তার দুই মেয়েকে ধর্ষণের পর যৌনপল্লী বিক্রি করে দেওয়া হয়। চার বছর ধরে গণধর্ষণের শিকার মা ও মেয়েদের উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১১ জুলাই ওই নারী তার চার সন্তানসহ এক দূর সম্পর্কের দেবরের বাড়িতে যান। সেখান থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। ওই নারীর মদ্যপ স্বামী তাদের খুঁজতে কোনো চেষ্টা না চালালে তার ভাই পরের বছরের জুলাই মাসে থানায় অভিযোগ করেন। এরপর তাদের খুঁজতে শুরু করে পুলিশ।
পুলিশ গত বছরের নভেম্বর মাসে রাজস্থানের একটি যৌনপল্লী থেকে ওই নারীর দুই নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধার করে। তাদের জয়পুরের শিশু সুরক্ষা কেন্দ্রে রাখা হয়।
গত মঙ্গলবার তাদেরকে উত্তরপ্রদেশের ফিরজাবাদে আনা হয়। শিশু কল্যাণ কমিটিকে তারা দুই বোন জানায়, দূর সম্পর্কের ওই চাচাই তাদের অপরহণ করে। তাদের সামনেই তার মাকে ওই চাচা ধর্ষণ করে। আর ওই চাচার সৎ ছেলে তাদের দুই বোনকেও ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী ওই দুই বোন জানায়, তাদেরকে একটি ঘরে বন্দী করে রাখে যেখানে আরও দুটি মেয়ে বন্দী ছিল। ধর্ষণের শিকার দুই বোনের এক বোন জানায়, বন্দী ওই দুটি মেয়ের মধ্যে একটির মুখ সেলাই করে তাকে গর্তে ফেলে দেওয়া হয়।
তারা জানায়, তাদের সামনেই ওই চাচা ও তার ছেলে তাদের দুই ভাইকে হত্যা করে লাশ গুম করে। এরপর মাসহ তাদের বিক্রি করে দেয়। পরে তারা রাজস্থানের দৌসা জেলার এক যৌনপল্লীতে গিয়ে পড়ে।
এদিকে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাদের মাকে অন্য একটি যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশকে ওই নারী জানিয়েছেন, তার ওই দূর সম্পর্কের দেবর সন্তানদের সামনেই তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এরপর তার ওই দেবর তাকে অন্য এক অপরিচিত ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। ওই ব্যক্তি তাকে একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই দেবরের সৎ ছেলে ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে। এখনো ওই দেবর পলাতক রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।