জুমবাংলা ডেস্ক: প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারকেরা এখন থেকে ৪ শতাংশ সরল সুদে গৃহঋণ পাবেন সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা।
সম্প্রতি ‘বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালা‘ নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ একটি পরিপত্র জারি করেছে। যা গত ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে।
পরিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার। এ পরিপত্রের মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে গৃহ নির্মাণ ঋণ দেওয়ার জন্য অর্থ বিভাগ মোট চারটি আলাদা পরিপত্র জারি করেছে। প্রথমটি হচ্ছে সরকারি কর্মচারী, এরপর অধস্তন আদালতের বিচারক ও তৃতীয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য। প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছাড়া সবারই ঋণ পাওয়ার সর্বোচ্চ সীমা ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।
জানা গেছে, প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি আপিল বিভাগে বর্তমানে ৫ জন বিচারক রয়েছেন, আর হাইকোর্ট বিভাগে আছেন ৯২ জন বিচারক।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, সুপ্রিম কোর্টের প্রত্যেক বিচারকের বাড়ি করার জন্য এ সিদ্ধান্ত খুবই সময়োপযোগী হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী গৃহনির্মাণ ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ। সুদের ওপর সুদ আদায় করা যাবে না। ঋণগ্রহীতা দেবেন ৪ শতাংশ সুদ আর বাকি ৫ শতাংশ সুদ ভর্তুকি হিসেবে বহন করবে সরকার।
ঋণ দেবে রাষ্ট্রমালিকানাধীন তফসিলি ব্যাংকগুলো, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন ও পাঁচটি বেসরকারি বাণিজ্যিক- ইসলামী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। সরকার চাইলে অন্য যে কোনো বাণিজ্যিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার কাজে নিয়োগ দিতে পারবে।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তটিকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে পরিপত্র মাত্র জারি হয়েছে। ফলে গৃহ ঋণের জন্য এখন পর্যন্ত কেউ আবেদন করেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।