জুমবাংলা ডেস্ক : একটি-দুটি নয়, প্রায় অর্ধশত বাড়ি ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। জোরপূর্বক বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে জমি দখলের অভিযোগে বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী।
তবে এই অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন দলের ওই নেতা। তিনি বলেন, আসন্ন সম্মেলনের আগে তার ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই একটা পক্ষ এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।
খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মো. রেজাউল করিম রাজা জানান, তার বাড়ি খালিশপুরের আবাসিক এলাকায়। বাড়ি নম্বর ৩৯। পারিবারিকভাবে গত ২০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন তারা।
তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে ভূমিদস্যু তকদীর বাবু ও আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ ও তার সহযোগীরা হাউজিং অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় জালিয়াতি করে কাগজপত্র তৈরি করে আমাকে এবং আমার বাড়ির ভাড়াটিয়াদের মারধর করে বের করে দিয়ে বসতবাড়ি দখল করে নেন। যেখানে বর্তমানে আশরাফের মেজ বোন বসবাস করছেন। আমি বিভিন্ন জায়গায় ধর্ণা দিয়েও এই ভূমিদস্যু আশরাফ, তকদীর বাবুদের ক্ষমতার দাপটে দিশেহারা হয়ে যাই। বর্তমানে ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। শুধু আমার বাড়িই নয়, খালিশপুর হাউজিং এস্টেটের প্রায় পঞ্চাশটি বাড়ি ভূমিদস্যু আশরাফ তকদীর বাবুরা দখল করে নিয়েছে।
ভুক্তভোগী রাজা বলেন, খুলনায় যেসব অপকর্ম আশরাফসহ অভিযুক্তরা করছেন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদন্ত করলেই এর সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। নির্দিষ্ট কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য না থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের নেতা আশরাফের বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ অর্থ আছে। খুলনায় আশরাফ সম্পর্কে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে, আশরাফের মতো এত নগদ অর্থ স্থানীয় কারও কাছে নেই। তবে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত সাপেক্ষে বেরিয়ে আসতে পারে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। সরকারপ্রধান সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দলের নাম ব্যবহার করে খুলনায় এই চক্রটি নানা ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন খুলনার খালিশপুরসহ আশপাশের এলাকার মানুষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।