জুমবাংলা ডেস্ক : ভাতাভুক্ত ২০০ জন মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে প্রায় পাঁচ বছর ধরে টাকা তুলে তা লোপাট করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এ কাজে তাকে সহায়তা করেছেন পরিষদের নয়জন মেম্বার ও উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর।
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ১০ নং ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেন পরিষদের মেম্বারদের সহায়তা নিয়েই এ দুর্নীতি করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট অভিযানে ধরা পড়ে এ চক্রের দুর্নীতি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণও পেয়েছে দুদক।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ আদনান।
দুদক জানায়, স্থানীয় প্রশাসনের তদন্তে দুর্নীতির বিষয়টি আগেই উঠে আসে। তখন দায় থেকে রেহাই পেতে তিন লাখের বেশি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন চক্রটি। দোষীদের ধরতে তথ্য-প্রমাণ ও আরও রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করছে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।
সংস্থাটির খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক আল আমিনের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের ১০নং ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে এ অভিযান চালায়।
জানা গেছে, রেজিস্ট্রার ও রেকর্ড বই পর্যালোচনা করে দুদক টিম জানতে পারে, চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেন ও নয়জন মেম্বার ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ বছর ধরে ২০০ জন মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা তুলেছেন। এর মাধ্যমে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি কমিটি অভিযোগটি তদন্ত করেছে। এ সংক্রান্ত আরও তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।