জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর কামরাঙ্গীচরসহ বিভিন্ন এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে ৬৫১টি বন্যপাখি উদ্ধারের পর সেগুলোকে মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে। সোমবার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক জহির উদ্দিন আকনের নেতৃত্বে সদস্যরা রাজধানীর কামরাঙ্গীচর, সাভারের ইটখোলা ও আশুলিয়ার জিরাবো এলাকা থেকে পাখিগুলোকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া পাখিগুলোর মধ্যে ২১০টি মুনিয়া, ৪২০টি তোতা ও ২১টি ঘুঘু রয়েছে। পরে সেগুলো মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়।
বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রন ইউনিট এর পরিদর্শক অসীম মল্লিক বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যাত্রীবাহী একটি বাসে খাঁচায় করে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাখিগুলোকে উদ্ধার করার জন্য সোমবার সকালে আমাদের একটি টিম আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় অবস্থান নেয়। কিন্তু পাচারকারীরা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই বাস থেকে পাখিগুলোকে নামিয়ে ফেলে। পরে তারা ভিন্ন উপায়ে ভ্যান গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় আশুলিয়ার ইটখোলা, জিরাবো এবং ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে ৬৫১টি বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপাখি জব্দ করা হয়।’
বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের পরিচালক জহির আকন্দ বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা পাখিগুলোকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় আমাদের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে আগেই পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে আ’টক করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারকৃত পাখিগুলো সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বন বিভাগ চত্বর ও মিরপুরের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হয়।’ এছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার এবং বন্যপ্রাণী পাচার বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।