আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা ও তার পেট কেটে গর্ভের শিশুকে অপহরণ করার দায়ে এক নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। প্রায় ৬৭ বছর পর বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দেশটিতে কোনো নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল। ৫২ বছর বয়সী লিসা মন্টগোমারিকে বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগ করলে স্থানীয় সময় রাত ১টা ৩১ মিনিটে মৃত ঘোষণা করা হয়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতার শেষ কয়েক মাসে তার প্রশাসন ১০টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন বিচার বিভাগ।
গেল বছরের ৮ ডিসেম্বর ওই নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কথা ছিল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে মৃত্যুদণ্ডের তারিখ পেছানো হয়। পরে আপিল বিভাগের তিন বিচারক চলতি মাসের ১২ তারিখে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরুর পর এক নারী মন্টগোমারির মাস্কটি সরিয়ে জিজ্ঞেস করেন, তার কোনো শেষ কথা আছে কি না। জবাবে মন্টগোমারি শান্ত, চাপা কণ্ঠে না বলেন। এরপর আর কোনো কথা বলেননি তিনি।
মন্টগোমেরির আইনজীবী কেলি হেনরি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রাতে এক ব্যর্থ প্রশাসনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রদর্শনী ছিল। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা প্রত্যেকেরই লজ্জাবোধ করা উচিত।’
তিনি আরো বলেন, এক ক্ষতিগ্রস্ত ও বিভ্রান্ত নারীকে হত্যা করার উদ্যোগ থেকে সরকার কিছুতেই থামেনি। লিসা মন্টগোমারির মৃত্যুদণ্ড দেয়ার মতো অপরাধ ছিল না।
লিসা মন্টগোমারি ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে ভুক্তভোগী ববি জো স্টিনেটের বাড়িতে আসেন। ঘরে প্রবেশের পর স্টিনেটের গলা টিপে ধরেন। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন স্টিনেট। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পেট থেকে শিশুটিকে বের করে নিয়ে পালিয়ে যান লিসা মন্টগোমারি। তিনি শিশুটিকে তার নিজের বাচ্চা বলে চালানোর চেষ্টা করেন।
এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হলে একজন বিচারক অপহরণ ও হত্যার দায়ে মন্টগোমারিকে দোষী সাব্যস্ত করেন। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে জানান তার আইনজীবী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।