জুমবাংলা ডেস্ক : বছরের প্রথম ছয় মাসে গ্রামীণফোনের কর পরবর্তি নিট মুনাফা ২৪৩ কোটি টাকা বেড়েছে। গত জুন সমাপ্ত অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের অন্যতম মোবাইল অপারেটর কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৯৭৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। গত বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ১ হাজার ৭৩০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। কোম্পানিটি দেশের দুই শেয়ারবাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ও সিএসই) তালিকাভুক্ত। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ এ সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত তথ্য প্রকাশ করেছে।
গ্রামীণফোন প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নিট মুনাফা বৃদ্ধি পাওয়ায় কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয়ও (ইপিএস) বেড়েছে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ার প্রতি বছরের প্রথম অর্ধে মুনাফা হয়েছে ১৪ টাকা ৬২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১২ টাকা ৮২ টাকা। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ০৪ শতাংশ।
কোম্পানিটির প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে দ্বিতীয় প্রান্তিক বা গত এপ্রিল-জুন সময়কালে। গত বছরের এপ্রিল-জুনে যেখানে কর পরবর্তি নিট মুনাফা ছিল ৯২০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, এ বছর একই সময়ে তা বেড়ে এক হাজার ১৯৩ কোটি ৮০ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
নিট মুনাফায় অনেক প্রবৃদ্ধি হলেও রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল তুলনামূলক কম। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আয় হয় সাত হাজার ৭৩৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭ হাজার ৪২১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ।
বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল তুলনামূলক বেশি (৫ দশমিক ৬১ শতাংশ)। এপ্রিল-জুনে রাজস্ব আয় ২১২ কোটি ৫১ লাখ টাকা বেড়ে চার হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়।
তবে মুনাফায় প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও কোম্পানিটির শেয়ারদরে কোনো পরিবর্তন নেই। ঢাকার শেয়ারবাজারে এ কোম্পানিটির শেয়ার আজও বেধে দেওয়া সর্বনিম্ন দরসীমা বা ফ্লোর প্রাইস ২৮৬ টাকা ৬০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বরের পর থেকে এ দরেই কেনাবেচা হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অন্যতম সেরা কোম্পানিটির শেয়ার।
মঙ্গলবার লেনদেনের শেষাংশেও ফ্লোর প্রাইসেই গ্রামীণফোনের আট লাখ ৫৩ হাজার ৮১৮টি শেয়ার বিক্রির আদেশ ছিল, যার বাজার মূল্য ছিল ২৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এ আদেশের বিপরীতে কোনো ক্রেতা ছিল না। এ দরেই ১৪ হাজার ৮০৬টি শেয়ার ৪২ টাকা মূল্যে কেনাবেচা হয়েছে।
মূল বাজারে ফ্লোর প্রাইসের তুলনায় কম মূল্যে কেনাবেচার সুযোগ নেই। এ অবস্থায় ব্লক মার্কেটে ফ্লোর প্রাইসের তুলনায় কমে ২৬১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ২৬৯ টাকা ৮০ পয়সা দরে মোট এক লাখ ৬২ হাজার ৩০১টি শেয়ার মোট চার কোটি ২৬ লাখ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।