লাইফস্টাইল ডেস্ক : পু’রুষত্বহীনতা হলো পুরুষের জীবনের একটি জটিল যৌ’ন সমস্যা। একে জটিল বলার কারণ এটি পুরুষকে যৌ’নমিলন থেকে বিচ্যুত করে ফেলে। যখন কোনো পুরুষের লি’ঙ্গ সময় মত অর্থাত্ যৌ’নমিলনের সময় উত্তেজিত হয়ে উঠে না তখন তাকে ই’রেকটাইল ডি’সফাংশন বলে। এর ফলে লি’ঙ্গ সঠিক মাত্রায় যৌ’নমিলনের জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠে না।
পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা সমাজে প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে উঠতি বয়সের যুবকরা এতে হতাশ। বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় পু’রুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে। এসবের মধ্যে রয়েছে :
১. বুড়িয়ে যাওয়া
৭৫ বছর ও তার বেশি বয়সী পুরুষের শতকরা ৮০ ভাগেরই পু’রুষত্বহীনতা ঘটে। অনেক পুরুষেরই বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের যৌ’ন কাজে পরিবর্তন শুরু হয়। লি’ঙ্গ উথান হতে অনেক সময় নিতে পারে, লি’ঙ্গ তেমন শক্ত নাও হতে পারে কিংবা অনেকক্ষণ ধরে লি’ঙ্গ স্পর্শ করার পর শক্ত হতে পারে। তবে পু’রুষত্বহীনতা স্বাভাবিক বয়স বাড়ার অনিবার্য পরিণতি নয়। পু’রুষত্বহীনতা সচরাচর বৃদ্ধ পুরুষদের দেখা দেয়। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের স্বাস্খ্যের অবনতি ঘটে কিংবা তারা এমন সব ওষুধ খান যেসব ওষুধ লি’ঙ্গের উথানে বাধা দেয়।
২. দীর্ঘস্খায়ী স্বাস্খ্যের অবনতি
ফুসফুস, লিভার, কিডনি, হৃৎপিণ্ড, নার্ভ, ধমনী বা শিরার অসুখগুলো পু’রুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে। একইভাবে এন্ডোক্রাইন সিস্টেমের অস্বাভাবিকতা, বিশেষ করে ডায়াবেটিস পু’রুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে। আপনার ধমনীগুলোতে প্ল্যাক জমলে (অ্যাথেরোস্কেরোসিস) তা আপনার লি’ঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবেশে বাধা প্রদান করতে পারে। কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে, স্বল্প মাত্রার টেস্টোসটেরন পু’রুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে।
৩. কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ সেবন
কিছু ওষুধ যেমন অ্যান্টি ডিপ্রেসান্ট, অ্যান্টিহিস্টামিন এবং উচ্চরক্তচাপ, ব্যথা ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলো পু’রুষাঙ্গের রক্ত প্রবাহে কিংবা স্নায়ুর উদ্দীপনায় বাধা প্রদান করে পু’রুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে। ট্রাংকুলাইজার এবং ঘুমের ওষুধও একই সমস্যা ঘটাতে পারে।
৪. মাদক সেবন
অ্যালকোহল, মারিজুয়ানা কিংবা অন্যান্য মাদকের অপব্যবহার সচরাচর পু’রুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে এবং যৌ’ন ইচ্ছা কমিয়ে দিতে পারে। মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা বা বিষণ্ণতা : মানসিক এ অবস্খাগুলো কিছু কিছু ক্ষেত্রে পু’রষত্বহীনতা ঘটায়।
৫. ধূমপান
ধূমপান পু’রুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে। কারণ এটা শিরা ও ধমনীতে রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেয়। যেসব পুরুষ বেশি ধূমপান করেন তাদের পু’রুষত্বহীনতা ঘটার আশঙ্কা অনেক বেশি।
৬. স্থূলতা
যেসব পুরুষ অতিরিক্ত মোটা, তারা স্বাভাবিক ওজনের পুরুষদের তুলনায় পু’রুষত্বহীনতায় বেশি ভোগেন। মেটাবলিক সিনড্রোম : এই সিনড্রোমের মধ্যে রয়েছে পেটে চর্বি জমা, অস্বাস্খ্যকর কোলেস্টেরল ও ট্রাই গ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ এবং ইনসুলিন রেজিট্যান্স।
৭. দীর্ঘ সময় বাইসাইকেল চালানো
দীর্ঘ সময় বাই সাইকেল চালালে সাইকেলের সিট থেকে নার্ভের ওপর চাপ পড়ে এবং লিঙ্গের রক্ত চলাচলের ওপরও চাপ পড়ে। ফলে সাময়িক পু’রুষত্বহীনতা ও লি’ঙ্গে অসাড়তা দেখা দেয়।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন?
যদি পুরুষত্বহীনতা সাময়িক বা স্বল্পমেয়াদি সমস্যার চেয়ে বেশি হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসক আপনার পুরুষত্বহীনতার সঠিক কারণ নির্ণয় করে আপনার যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করবেন। যদিও পুরুষত্বহীনতা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত বা লজ্জাকর সমস্যা মনে হতে পারে। কিন্তু এটার চিকিৎসা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।