হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতাল ফটকের সামনে ৮ টাকা মূল্যের একটি ইনজেকশনের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকার রাখার অভিযোগে দুই ফার্মেসি ব্যবসায়িকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার বিকেলে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আমরিুল ইসলাম মাসুদ এ জরিমানা করেন।
তিনি জানান, হবিগঞ্জের জেলা সদর আধুনিক হাসপাতাল ফটকের ফার্মেসিগুলো বেশ কিছুদিন ধরেই ‘ল্যাসিক্স-২০ এমজি’ ইনজেকশনের অতিরিক্ত মূল্য রাখছিল। জীবন রক্ষাকারী এই ইনজেকশনটির বিক্রয়মূল্য ৮ টাকা ২০ পয়সা। শর্ট সাপ্লাইয়ের অজুহাত দিয়ে অসহায় রোগীদের কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত মূল্য আদায় করছিল অসাধু এই ফার্মেসি ব্যবসায়িরা।
সোমবার সকালে জুয়েল সরকার নামের একজন ওষুধ ক্রেতার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতাল গেটে অন্বেষা ফার্মেসিতে তদারকি চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তদারকি শেষে অন্বেষা ফার্মেসির পক্ষে রনেশ কুমার দাস অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করলে প্রতিষ্ঠানটিকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় উপস্থিত সকলের সামনে অভিযোগকারী জুয়েল সরকারকে ২৫ শতাংশ পুরস্কার হিসেবে ৩ হাজার টাকা দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, একই সময়ে মো. মকসুদ আলী নামের আরেক ক্রেতা অভিযোগ করেন, পাশ্ববর্তী আল আমিন ফার্মেসিতেও একই ওষুধের মূল্য তার কাছ থেকে রাখা হয়েছে ৬০ টাকা। এসময় ওই ক্রেতার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আল আমীন ফামের্সিকে আরো ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।