
মো. হেদায়েত উল্লাহ, গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ৯৯ বছর বয়সেও ভূমিহীন অমিতন নেছার ভাগ্যে জোটেনি বিধবা ভাতা বা বয়স্ক ভাতার কার্ড।
অমিতন নেছা উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি ১৯৭১ সালে তার স্বামীকে হারান। তার মেয়ে আকলী মারা গেছেন ৬ বছর আগে।
ভূমিহীন এই বৃদ্ধা এখন তার ছেলে রহিম উদ্দিন ওরফে বাটুর সাথে ইউনিয়নের ‘রংপুর সুগার মিল’র পরিত্যক্ত জায়গায় ঝুঁপড়ি ঘরে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তার ছেলে বাটুর ছোট চায়ের দোকানই তাদের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন।
অমিতন নেছা কান্নাজড়িত কন্ঠে জুমবাংলাকে জানান, তিনি ভূমিহীন। তার ছেলের সাথে ‘রংপুর সুগার মিল’র পরিত্যক্ত জায়গায় ঝুঁপড়ি ঘরে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তিনি। নানা রোগে ভোগছেন। তিনি ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারেন না, চোখেও দেখেন কম।
অমিতন নেছার ছেলে রহিম উদ্দিন ওরফে বাটু জুমবাংলাকে জানান, কোনও ধরনের সরকারি ভাতা পান না তার মা। চার ছেলেমেয়েসহ সাত সদস্যের সংসারে তার মাকে নিয়ে তিনি মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তার মা অমিতন নেছা বিধবা ভাতা বা বয়স্ক ভাতা পেলে তাদের কষ্ট লাঘব হবে।
স্থানীয় উত্তম সাহা ও মো. তুহিন জুমবাংলাকে জানান, অমিতন নেছা হতদরিদ্র। বিধবা ভাতা বা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু কোনও কিছুই জোটেনি তার ভাগ্যে।
মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. রুবেল আমিন শিমুল জুমবাংলাকে বলেন, আমি অমিতন নেছাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তিনি খুব কষ্টে জীবন-যাপন করছেন। আমি সবেমাত্র দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। তালিকাকরণের কাজ শুরু হলে তার বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।