আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বেলজিয়ামের লরেন্ট সিমন্স নামের মাত্র ৯ বছর বয়সী এক বালক ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বিশ্বের প্রথম সারিতে থাকা নেদারল্যান্ডের ‘এইনদোফেন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’ (টিইউই) থেকে এ ডিগ্রি অর্জন করে সে।
বর্তমানে লরেন্ট পিএইচডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে তার আগে মেডিসিন বিভাগেও পড়াশোনা করতে চায় সে। একইসঙ্গে বিপরীতধর্মী দু্’টি বিষয়ে তার প্রখর মেধা ও পারদর্শীতা নজর কেড়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।
সম্প্রতি সিএনএনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লরেন্ট জানায়, যে কোনো কিছু খুব সহজেই আয়ত্ত করে নিতে পারে সে। ভালো লাগে নতুন বিষয়ে পড়াশোনা করতে। ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পড়াশোনা করলেও কিছুদিন মেডিসিন বিষয়ে জ্ঞানার্জনের ইচ্ছা রয়েছে তার। এছাড়া ভবিষ্যতে মানবদেহে কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপন বিষয়ে গবেষণায় আগ্রহী সে।
মেধাবি শিশুর ব্যাপারে টিইউই’র প্রফেসর ও গবেষক সুজর্ড হালশফ বলেন, লরেন্ট অসম্ভব প্রতিভাবান এতে কোনো সন্দেহ নেই। তার উদ্ভাবনী চিন্তাধারা ও প্রখর মেধা নিয়ে আমি বিস্মিত। যে গবেষণা প্রতিবেদন দিয়ে সে স্নাতক পাস করেছে, সে বিষয়ে অনেকেই প্রথম চেষ্টায় এতো ভালো ফল করতে পারে না।
লরেন্টের মা লিডিয়া সিমন্স জানান, খুব ছোট বয়সেই লরেন্টের প্রতিভার বিষয়টি চোখে পড়ে তার দাদুর। কথা বলতে শেখার পরপরই যে কোনো কিছু অতি দ্রুত শিখে ফেলতে পারতো সে। এ নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন তারা।
লরেন্টের বাবা আলেকজান্ডার সিমন্স বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে আমাদের অজানা অনেক বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যবেক্ষণ দিতে শুরু করে লরেন্ট। আমরা ওর এ অবস্থা দেখে ভয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই। পরবর্তীতে বুঝতে পারি যে, ও আসলে একটা প্রডিজি (বিশেষ গুণ বা মেধার অধিকারী)।
লরেন্টের বাবা-মা জানান, তাড়াতাড়ি সবকিছু আয়ত্ত করে নেওয়ার বিষয়টি বাদ দিলে সে অন্য শিশুদের মতোই খেলতে ভালোবাসে। তার পছন্দের কুকুরছানা নিয়ে ব্যস্ত থাকে সারাদিন। ভালোবাসে চকোলেট ও আইসক্রিম খেতে। পাশাপাশি নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে খুবই ভালোবাসে লরেন্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।