জুমবাংলা ডেস্ক : শিশু খাদ্য থেকে শুরু করে ফলমূল, শাক-সবজি, মাছ-মাংস, দুধ, মিষ্টি, প্যাকেটজাত খাদ্য ও পানীয়সহ প্রায় সব ধরনের খাবারে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ফরমালিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব খাদ্যের মধ্যে মাল্টা ও আঙুরে ফরমালিন মেশানোর ব্যাপকতার যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা রীতিমতো আতঙ্কজনক। ১০০ শতাংশ মাল্টায় আর ৯৫ শতাংশ আঙুরে ফরমালিনের উপস্থিতি মিলেছে। যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো বিশেষজ্ঞদের মতে মানবদেহে ফরমালিন সহনশীলতার মাত্রা ১.৫ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) হলেও ঢাকার বাজারে সাম্প্রতিক অভিযানে মৌসুমি ফলে ১৫৫ পিপিএম মাত্রার ফরমালিন শনাক্ত হয়েছে। এই উচ্চমাত্রার ফরমালিনযুক্ত মাল্টা ও আঙুর মানুষের শরীরে জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
দীর্ঘমেয়াদি বা বারবার ফরমালিনযুক্ত মাল্টা, আঙুর খেলে অন্ধ হয়ে যাওয়া, লিভার, কিডনি সমস্যা এমনকি ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যান্সার হতে পারে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকরা। ফরমালিন আতঙ্কে অনেকেই ফল খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। অথচ রোগ প্রতিরোধ ও পুষ্টি বিবেচনায় ফল খাওয়ার গুরুত্ব অনেক। অসাধু এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাঝেমাঝে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও এর লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকার ৮২ ভাগ খাদ্যদ্রব্যে ক্ষতিকর ফরমালিনের উপস্থিতি পেয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। সংগঠনটি ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ২৬৩টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে ২১৫টিতে ফরমালিনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
সংগঠনটির তথ্যমতে, ঢাকা মহানগরীর ২৯টি এলাকা থেকে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি মালটার ২৯টি, আঙুরের ১৯টি নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করে তারা। এতে ১০০ শতাংশ মাল্টা আর ৯৫ শতাংশ আঙুরে ফরমালিনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, তারা আরও আগে বাজার থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছেন। এতে শিশু খাদ্য থেকে শুরু করে মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের খাদ্যে ফরমালিন মেশানোর প্রমাণ মিলেছে। সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে ভেবে দেখা উচিত।
প্রায়ই ভেজাল ও ফরমালিন মেশানো খাদ্য বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিএসটিআই, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটসহ সংশ্লিষ্টরা। অভিযানে ফলমূলসহ বিভিন্ন খাদ্যে ফরমালিনের উপস্থিতি পাওয়ার তথ্য জানানো হয়।
এর আগে রাজধানীর হাতিরপুল বাজারের তিনটি ফলের দোকান থেকে ফরমালিন মেশানো এক মন আঙুর (লাল ও সাদা) জব্দ করেছে বিএসটিআই পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান পরিচালনাকারীদের ধারণা, বাদামতলীর আড়তদাররা ফরমালিন মেশাতে পারে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার এ আঙুর প্যাকেট করা অবস্থায় পাওয়া যায়।
রপ্তানিকারক দেশ থেকে ফরমালিন মেশানোর আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আদালতের নির্দেশনানুযায়ী দেশের প্রতিটি বন্দর দিয়ে আমদানি করা ফল প্রবেশের সময় রাসায়নিক পরীক্ষা করার কথা। কিন্তু তা না করায় এ রকম ক্ষতিকর ফল দেশে প্রবেশ করছে বলে মনে করছেন তারা।
দেশের সীমান্ত পথে বিভিন্ন ধরনের ফল বাংলাদেশে আসছে। এসব ফলের শুধু জার্মিনেশন পরীক্ষা করে ছাড়পত্র প্রদান করে থাকে। সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে ফলের চালান খালাস দেওয়া হয়। অথচ হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, আমদানি করা সব ধরনের ফলে ফরমালিন পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার কথা।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করা ফলে ফরমালিন পাওয়া যায়নি। কারণ ভারত থেকে যেসব ফল আমদানি হয় তা সরাসরি বাগান থেকে তুলে বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয়। ১-২ দিন দেরি হলে ফলে পচন ধরতে শুরু করে। সমুদ্রপথে আমদানি করা ফল দেশে আসতে দীর্ঘ সময় লাগায় পচন ঠেকাতে ফরমালিন দেওয়া হয়।
দেশীয় বাজারে বিক্রি হওয়া মৌসুমি ফল ছাড়া বাকি ফলই আমদানি করা। সমুদ্রপথেও আমদানি হয় ফলমূল। এতে ফলের চালান আসতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এই সময়ের মধ্যে যাতে ফল নষ্ট হয়ে না যায়, সেজন্য ফরমালিন মেশানো হয়। কিন্তু ফলের পণ্য খালাসের সময় এতে ফরমালিন মেশানো হয়েছে কিনা, সেটি কতটুকু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পরীক্ষার জন্য খোলাবাজার থেকেই ফল সংগ্রহ করে পবা। এ ছাড়া বিএসটিআই, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সময়ে খোলাবাজারে অভিযান চালিয়ে ফরমালিন মেশানোর দায়ে অসাধু ব্যবসায়ীকে জেল-জরিমানা এবং ফল জব্দ করেছে। এতে খুচরা পর্যায়েও ফরমালিন দেওয়া মাল্টা, আঙুর বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তারা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, ভেজাল ও ফরমালিন দেওয়া খাদ্যদ্রব্যবিরোধী প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারাও এতে উপস্থিত থাকেন। খুচরা, পাইকারি বাজারে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
যে ক্ষতি হতে পারে ॥ ফরমালিনের তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত। চিকিৎসকরা বলছেন, উচ্চমাত্রায় ফরমালিন দেহের সংস্পর্শে এলে যেমন ত্বক, চোখ, নাক, গলা, পরিপাকতন্ত্র ও শ্বাসযন্ত্রে গুরুতর উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে, তেমনি ঘটাতে পারে মৃত্যু। খাবারের মাধ্যমে শরীরে এর বিভিন্ন মাত্রায় দেখা দিতে পারে বহুমুখী উপসর্গ।
শরীরে দীর্ঘমেয়াদি ফরমালডিহাইডের উপস্থিতি লিভার, কিডনি ও ফুসফুসে বড় রকম করতে পারে। দেখা দিতে পারে নিউরোলজিক্যাল সমস্যা এবং শিশুদের জন্মগত বৈকল্য। ফরমালিনের স্বাস্থ্যঝুঁঁকির কথা বিবেচনা করে এর আমদানি ফলসহ অন্যান্য পণ্য, বিপণন, সরবরাহ ও ব্যবহারে কঠোর আইন এবং ব্যাপক সচেতনতা জরুরি।
এক্ষেত্রে ভোগ্যপণ্য ক্রয়ে ব্যক্তিসচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলমূল, শাক-সবজি, মাছ পচনশীল ও সংরক্ষিত পণ্য কিনতে ক্রেতাদের সতর্ক থাকা উচিত। বাজার থেকে কেনা ফলমূল পানিতে ভালো করে ধুয়ে তারপরই খাওয়া উচিত। শুকনো ও সংরক্ষিত খাবার খাওয়ায় সতর্কতা আরও দরকার।
জানতে চাইলে হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ফরমালিনের সহনীয় মাত্রা রয়েছে। বেশি মাত্রায় ফরমালিন ব্যবহার করা হলে তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। তাই ফরমালিন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কার্বাইড, ফরমালিন, অতিমাত্রার কীটনাশক ব্যবহারে ফলের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
এসব ব্যবহারের ফলে প্রাথমিকভাবে মুখ চুলকানো, পাকস্থলী ব্যথা করা, লিভার, কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। একটা পর্যায়ে লিভার অকার্যকরও হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, বছর দুয়েক আগে পরীক্ষা করে কালো আঙুরে বেশি ফরমালিন পাওয়া গেছে। তবে এর মধ্যে আর পরীক্ষা করা হয়নি।
ফরমালিনযুক্ত ফল চেনার উপায় ॥ সাধারণ ক্রেতাদের ফরমালিনযুক্ত ফল চেনার উপায়ও জানিয়েছেন চিকিৎসক, পুষ্টিবিদসহ অভিযান পরিচালনাকারী সংস্থার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, ফরমালিন একটা ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত কেমিক্যাল। তাই ফরমালিনযুক্ত ফলের বোটার অংশটি নাকের কাছে ধরলে একটা ঝাঁঝালো গন্ধ পাওয়া যাবে। অপরদিকে ফরমালিনমুক্ত ফলে প্রাকৃতিক গন্ধ অর্থাৎ ওই ফলের স্বাভাবিক গন্ধ পাওয়া যাবে।
ফরমালিন যুক্ত ফলে মাছি, মৌমাছি বা অন্য কোন পতঙ্গ বসবে না। স্বাভাবিকভাবে পাকা ফলের রং কিছুটা সবুজ বা কিছুটা হলুদ হয়ে থাকে। কিন্তু কেমিক্যাল মেশানো ফলের সব অংশই সমান পেকে যায়। ফল গাছ পাকা হলে ফলের শরীরে একরকম সাদাটে ভাব থাকে কিন্তু ফরমালিন বা অন্য কোনো রাসায়নিকে চুবানো ফল ঝকঝকে সুন্দর, ফলের শরীর মোলায়েম ও দাগহীন হবে।
গাছ পাকা ফলের ত্বকের গোড়ার দিকে গাঢ় রং হবে এবং শেষের দিকে হালকা রং হবে। কেমিক্যাল মেশানো ফলের আগাগোড়া হলদেটে হয়ে যায়। কখনো-কখনো বেশি দেওয়া হলে সাদাটে হয়ে যেতে পারে।
কোনো ফলমূল খাবার আগে সেটি হালকা গরম এবং লবণ মিশ্রিত পানিতে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখা উচিত। এতে করে ফরমালিনের পরিমাণ প্রায় ৯৮ শতাংশ দূর হবে।
অনেক সময় ফলমূলে স্প্রে করার মাধ্যমে ফরমালিন দেওয়া হয়। সেজন্য গাড় বা উজ্জ্বল রঙের ফল কেনা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফরমালিন শনাক্তকরণ মেশিন নিয়েই প্রশ্ন ॥ দেশে বর্তমানে প্রচলিত বিশুদ্ধ খাদ্যদ্রব্য আইন-২০০৫ এ বলা হয়েছে, ফলমূল বা খাবারে কোনো প্রকার ফরমালিনের উপস্থিতি থাকা চলবে না। তবে সেখানে ফরমালিনের স্বাভাবিক মাত্রা কত হবে তা বলা হয়নি। তা ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে বাতাসে যে পরিমাণ ফরমালিন থাকে, তা থাকলে কি হবেÑ সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই।
ফলে ফরমালিন চিহ্নিতকরণের বিষয়টি এখনো তাই অস্পষ্টই রয়ে গেছে। কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল ও খাবারে এক শ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী ইচ্ছামতো ফরমালিন মিশিয়ে বিক্রি করছে বলে ব্যাপক অভিযোগ ছিল। এর ফলে ভেজালবিরোধী অভিযানকালে ফরমালিন মিশ্রিত ফলমূল ও খাবার বিক্রির অভিযোগে বিপুল পরিমাণ ফলমূল ধ্বংস ও খাবার জব্দ করা হয়। ফরমালিন মিশ্রিত ফলমূল ও খাবার বিক্রির অভিযোগে জেল-জরিমানাও করা হয়েছে।
ফলমূলে ফরমালডিহাইড শনাক্তকরণে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অত্যাধুনিক এইচপিএলসি (হাই পারফরমেন্স লিকুইড ক্রোমোটোগ্রাফি) মেশিনে পরীক্ষা করা হয়। ফরমালিন শনাক্তকরণ মেশিন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় উপযুক্ত মেশিন খুঁজে বের করে সে সম্পর্কে জানাতে স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশনাও দিয়েছিল আদালত।
বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে গঠিত এ কমিটিতে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিআইআরসি), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
কমিটির সদস্যরা চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলেছে, বর্তমানে দেশের বাজারে ফরমালিন শনাক্তকরণে বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদিত মেশিনের কোনোটি দিয়েই শতভাগ নির্ভুলভাবে ফরমালিন শনাক্ত করা যায় না। কেবলমাত্র এইচপিএলসি মেশিনে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমেই কেবলমাত্র সঠিকমাত্রায় ফরমালিন শনাক্ত করা সম্ভব।
ব্যক্তিপর্যায়ে সতর্কতা সত্ত্বেও ফরমালিনের ঝুঁঁকি থেকেই যায়। তা-ই ফরমালিনমুুক্ত বাজার প্রতিষ্ঠাই আসল কথা। প্রতিটি বাজারে হিমাগার প্রতিষ্ঠা এবং পচনশীল খাদ্য সংরক্ষণ ও বিপণনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ দরকার। এক্ষেত্রে পরিবহনগত সংকট নিরসনের কথাও ভাবতে হবে।
বাজারে ফরমালিন শনাক্তকরণে উপযুক্ত এবং সঠিক মানের ফরমালডিহাইড মিটার বা পরীক্ষাযন্ত্রের ব্যবহার একটি অপরিহার্য বিষয়। প্রাকৃতিকভাবেই স্বাভাবিক মাত্রার ফরমালডিহাইড ফল, সবজি ও মাছে থাকতে পারে। কাজেই ফরমালিনের উপস্থিতি খাদ্যে ফরমালিন ব্যবহার নিশ্চিত করে না। এক্ষেত্রে ফলমূলে ফরমালিন বা ফরমালডিহাইডের উপস্থিতি মাত্রা গুরুত্বপূর্ণ।
তাই ফরমালিন-বিরোধী অভিযান যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় এবং ব্যবসায়ীরা যেন অহেতুক ক্ষতি ও হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা উচিত। কারণ এর সঙ্গে আমাদের কৃষি অর্থনীতির বিষয়টিও জড়িত। তবে ফরমালিনবিরোধী অভিযান যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয় এদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার।
বিষ ও ভেজালমুক্ত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে আমাদের দেশে প্রায় একডজনেরও বেশি আইন আছে। জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণ ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তার স্বার্থে বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য সুনিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি। – জনকণ্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।