ধর্ম ডেস্ক : ইসলামি খিলাফত বা ইসলামি রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু করেছেন শেষ নবী মুহাম্মদ সা.। নবীজীর ইন্তেকালের পর ধারাবাহিকভাবে প্রায় সোয়া তেরশ বছর পর্যন্ত খিলাফত রাষ্ট্র ব্যবস্থা চলমান ছিল। মধ্যখানে তাতারিরা যখন বাগদাদে অবস্থিত আব্বাসি খিলাফত ধ্বংস করেছিল তখন ১২৫৮ –৬১পর্যন্ত মুসলমানদের কোনো খলিফা ছিলেন না।
১২৫৮ সালে মঙ্গোলদের আক্রমণে খিলাফতের রাজধানী বাগদাদ ধ্বংস হয় ও খেলাফত বিলুপ্ত হয়। মিশরের মামলুক শাসকদের মাধ্যমে আবার আব্বাসীয় খেলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৫১৭ উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান প্রথম সেলিমের কাছে মিশরের আব্বাসী খলিফা কর্তৃক খেলাফত হস্তান্তরিত হলে উসমানীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়।
যদিও প্রথম মুরাদ (১৩৬২-১৩৮৯) সালে মামলুক সালতানাতের বৈধ দাবিদার না থাকায় খিলাফাতের দাবি করে। ১৯০৯ সালে তরুণ তুর্কি বিপ্লব এর মাধ্যমে খলিফা দ্বিতীয় আবদুল হামিদ অপসারণ এবং ১৯১৮ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ মিত্র বাহিনী ও আরব বিদ্রোহ জাতীয়তাবাদীদের হাতে উসমানী খেলাফত বিলুপ্তির মুখে পড়ে।
১৯২৪ সালে সর্বশেষ খলিফা দ্বিতীয় আবদুল মজিদকে নির্বাসিত করে কামাল আতাতুর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে খিলাফত বিলুপ্ত করে।
বর্তমান সময়টা চলছে ২০২৪ সাল। আজ থেকে ১০০ বছর আগে খিলাফত তথা ইসলামি রাষ্ট্র ব্যবস্থা চির তরে ইতিহাসের নদে হারিয়ে যায়। কিয়ামতের আগে আবারো খিলাফত বা ইসলামি রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু হবে। রসুল সা. এর হাদিস থেকে জানা যায়, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমাদের গুপ্তধনের নিকট তিনজন লোক ঝগড়া করবে।
প্রত্যেকেই হবে খলিফার পুত্র। কেউ তা দখল করতে পারবেনা। অতঃপর পূর্বের দিক থেকে কালো পতাকাধারী একদল সৈনিক আসবে। তারা ব্যাপক হত্যাকাণ্ড চালাবে। হাদিছের বর্ণনাকারী বলেন, এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন কিছু বিষয়ের কথা বর্ণনা করলেন যা আমি স্মরণ রাখতে পারিনি। তোমরা যখন তাদেরকে দেখতে পাবে তখন তাদের নেতার হাতে বায়াত করবে। যদিও বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে উপস্থিত হতে হয়। কেননা তিনি হলেন আল্লাহর খলিফা মাহতিদ। (ইবনে মাজাহ, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান)
হাফেজ আবুল হাসান আল-আবেরি রহ. বলেন, মাহদি সম্পর্কিত হাদিছগুলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে মুতাওয়াতির হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। তিনি আহলে বায়ত তথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বংশধরের অন্তর্ভুক্ত হবেন। সাত বছর রাজত্ব করবেন। তার রাজত্বকালে পৃথিবী ন্যায়-ইনসাফে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। তার রাজত্বকালে ঈসা ইবনে মারইয়াম আ. আগমন করে দাজ্জালকে হত্যা করবেন। ঈসা আ. তার পিছনে নামাজ পড়বেন। (আত তাহজিবুল কামাল ফি আসমায়ির রিজাল ৩-১১৯৪)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।