আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের প্রথম তিন সপ্তাহে পাল্টা আঘাতে রুশ বাহিনীর ১৪ হাজারের বেশি সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ। শনিবার ইউক্রেন সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ রুশ সৈন্যদের প্রাণহানির এই তথ্য জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার ৪০০ রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এক হাজার ৪৭০টি সৈন্যবাহী সাঁজোয়া যান, ৬০টি ট্যাংক এবং শতাধিক যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারসহ বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে মস্কো। তবে ইউক্রেনের এই দাবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যদিও পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রগুলো ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ৭ হাজারের মতো সৈন্য নিহত এবং আরও ১৪ হাজার থেকে ২১ হাজারের মতো সৈন্য আহত হয়েছে বলে আভাস দিয়েছে।
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর পঞ্চম সেনা জেনারেলকে হত্যার দাবি জানানোর পর শনিবার এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করল ইউক্রেন। ইউক্রেন সংঘাতে এখন পর্যন্ত নিহত সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ রুশ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আন্দ্রেই মর্দভিচেভ। যদিও বিবিসি এই সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার ইউক্রেনীয় দাবি যাচাই করতে পারেনি।
এদিকে ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো নতুন কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের একটি অস্ত্রাগার ধ্বংস করতে ওই ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার করা হয়েছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদসংস্থা আরআইএ নভোস্তি বলেছে, এর আগে রাশিয়া কখনোই ইউক্রেন যুদ্ধে উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন নির্ভুল নিশানার অস্ত্র ব্যবহারের কথা স্বীকার করেনি। পশ্চিমাপন্থি ইউক্রেনের সংঘাতে এবারই প্রথম কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
শনিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক অঞ্চলের ডেলিয়াটিন গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমানের গোলাবারুদের ভূগর্ভস্থ বিশাল একটি অস্ত্রাগার ধ্বংস করা হয়েছে। এই অস্ত্রাগার ধ্বংসে হাইপারসনিক অ্যারোব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির কাছে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি, এএফপি, দ্য ইনডিপেনডেন্ট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।