নাহিদা আহমেদ : আমকে বলা হয় ফলের রাজা। আম খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। আম কেবল স্বাদে ও গন্ধেই অতুলনীয় নয়, পাশাপাশি পাকা ও কাঁচা উভয় আমেই রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। আম কাঁচা বা পাকা যে অবস্থায়ই থাকুক না কেন, পরিমিত গ্রহণ করলে শরীরের উপর তেমন কোনও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে না। আম খেলে কোন কোন উপকার পাবেন জেনে নিন।
১. আম প্রি-বায়োটিক, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ। কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান স্তন ও কোলন ক্যানসার ঝুঁকি কমায়। নতুন কিছু গবেষণা অনুযায়ী আমে কোলন,স্তন লিউকোমিয়া ও প্রোস্টেট ক্যানসার থেকে রক্ষা করার উপাদান আছে।
২. আম ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন নামক ফ্ল্যাভিনয়েডস এর ভালো উৎস। এগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৩. আম ভিটামিন এ, সি ও ই এর ভালো উৎস যা ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৪. বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে, প্রাকৃতিক ফলে বিদ্যমান ক্যারোটিন গ্রহণ করলে সেগুলো ফুসফুস ও মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
৫. তাজা আম পটাশিয়ামের ভালো উৎস। পটাশিয়াম কোষ ও দেহ তরলের উপাদান যা রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৬. ভিটামিন সি ও বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় আমে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৭. আমে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ যা মস্তিষ্কের কার্যকরিতা ঠিক রাখতে ও কিছু জটিলতা কমাতে সাহায্য করে।
৮. আম থেকে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৯. আম তারুণ্য ধরে রাখতে কার্যকর। আমে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেনের উৎপাদনে সাহায্য করে। যার ফলে ত্বক সতেজ ও টানটান হয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
১০. আমে থাকা বিভিন্ন উপাদান কোলেস্টেরলের ক্ষতিকর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
১১. হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর পাকা আম।।
১২. আমে কপার পাওয়া যায় যা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
১৩. গত দুই দশক ধরে ওজনাধিক্য ও ডায়াবেটিসজনিত সমস্যার জটিল আকার ধারণ করেছে। পরিমিত আম প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে তা এই সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
১৪. স্কিন ক্যানসার ফাউন্ডেশনের মতে, খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত বিটা-ক্যারোটিন জাতীয় খাবার থাকলে তা স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর।
১৫. যারা নিয়মিত আম খান, তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা লাঘব হয়। আম হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখতেও কার্যকর।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেড
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।