সকালে বা সন্ধ্যায় নিয়ম করে হাঁটছেন, তবু ওজন কমছে না এমন অভিজ্ঞতা অনেকেরই। ডায়েট মেনে চলছেন, চিনি-ভাজাপোড়া কমিয়েছেন, কিন্তু আয়নায় দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে শরীরের সেই চর্বি যেন নড়ছেই না। তাহলে ভুলটা কোথায়? আসলে হয়তো আপনি হাঁটছেন ঠিকই, কিন্তু শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী যথেষ্ট হাঁটা হচ্ছে না। ওয়েট কন্ট্রোল কোচ অঞ্জলি সচান জানাচ্ছেন, সঠিকভাবে হাঁটলে মাত্র ১০–১২ দিনেই ঝরানো সম্ভব ১ কেজি ফ্যাট।

হাঁটার সঙ্গে মিল রেখে ফ্যাট কমানোর
ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা এক ভিডিওতে অঞ্জলি সচান বলেন, আমাদের শরীরে ১ কেজি ফ্যাট জমা থাকে প্রায় ৭,৭০০ ক্যালোরি শক্তি হিসেবে। এটা কোনো পানি জমা বা সাময়িক ফোলাভাব নয় এটা আসল চর্বি। তাই ফ্যাট কমতে সময় লাগে। তবে সুখবর হলো, একবার এই ফ্যাট পুড়লে তা আর সহজে ফিরে আসে না।
তিনি জানান, হাঁটার সময় প্রতি ১,০০০ স্টেপে প্রায় ৫০–৭০ ক্যালোরি খরচ হয়। কারণ হাঁটার সময় শরীরের পেশি কাজ করে, ভারসাম্য রক্ষা হয় এবং হার্ট রেট বাড়ে। হিসাব অনুযায়ী, শুধু হাঁটার মাধ্যমেই ১ কেজি ফ্যাট ঝরাতে দরকার প্রায় ১ লাখ ২৮ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার স্টেপ।
সংখ্যাটা শুনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অঞ্জলি সচান বলছেন, যদি প্রতিদিন ১০,০০০–১৫,০০০ স্টেপ হাঁটা যায়, তাহলে ১০–১২ দিনের মধ্যেই ১ কেজি ফ্যাট কমানো সম্ভব। এখানে বিশেষ বিষয় হলো এটা কোনও কঠিন ডায়েট বা বাড়তি ওয়ার্কআউট ছাড়াই, শুধু হাঁটার হিসাব। দৈনন্দিন স্বাভাবিক ক্যালোরি বার্ন তো এর বাইরে রয়েছেই।
অনেকে মনে করেন, জিমে ভারী ওয়ার্কআউট না করলে ওজন কমে না। কিন্তু অঞ্জলি সচানের মতে, হাঁটা অনেক বেশি শক্তিশালী একটি অভ্যাস। কারণ—
- ক্যালোরি পোড়ায়
- ধীরে ও স্থায়ীভাবে ফ্যাট কমায়
- অতিরিক্ত ক্ষুধা বাড়ায় না
- হরমোন বা মাসিক চক্রে প্রভাব ফেলে না
- ক্লান্তি বা বার্নআউট তৈরি করে না
- মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
- তাই হাঁটাকে তিনি বলছেন, সবচেয়ে সহজ, নিরাপদ ও টেকসই ফ্যাট লস পদ্ধতি।
ফ্যাট কমানো কোনও একদিনের ম্যাজিক নয়। একবার জোরে এক্সারসাইজ করলেই সব চর্বি উধাও হয়ে যাবে এমনটা হয় না। বরং প্রতিদিনের ছোট ছোট অভ্যাসই বড় পরিবর্তন আনে। নিয়মিত হাঁটা শরীরকে শুধু ফিট রাখে না, ধীরে ধীরে ফ্যাট কমিয়েও আনে।
সূত্র: এনডিটিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


