আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে দীর্ঘ ৩৩ দিন বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। মুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি বিশেষ নিরাপত্তায় দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের পথে রওনা দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নৌবাহিনীর দু’টি যুদ্ধজাহাজ কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে এমভি আবদুল্লাহকে দুবাইয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নেওয়ার ছবি প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ছবিতে দেখা যায়, এগিয়ে চলছে এমভি আবদুল্লাহ। তার দুই পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। এ সময় তিনটি দ্রুতগতির নৌযানকেও টহল দিতে দেখা যায়।
এমভি আব্দুল্লাহ’র মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম জানায়, এই নিরাপত্তার মধ্যেই আগামী ২২ এপ্রিল (সোমবার) দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছাবে জাহাজটি। জাহাজে থাকা ক্রুরা সবার মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। নাবিকদের জন্য জাহাজে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
❗Operation ATALANTA confirms the release of the 23 crew members of the Merchant Vessel ABDULLAH and the ship.
📷 Warships of EUNAVFOR ATALANTA escort the MV ABDULLAH after the release.
More information: https://t.co/ugjjZBHUoA pic.twitter.com/nqhOTbSPKs
— EUNAVFOR ATALANTA (@EUNAVFOR) April 15, 2024
জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকালে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।
মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।
যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।
এর আগে গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হারমিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি জিম্মির পর সোমালিয়ার জেফল উপকূলের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ৯ দিনের মাথায় দস্যুরা প্রথম মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের বিনিময়ে ৩৩ দিন পর কবল থেকে ছাড়া পান ২৩ বাংলাদেশি নাবিক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।