জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরে ছাত্র–জনতার ওপর হামলার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ২০ জনকে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম জানিয়েছেন, যারাই সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদেরই গ্রেপ্তার করা হবে।
আইজিপি জানান, ‘সব এজেন্সি মিলে আমরা একটা সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, জয়েন্ট অপারেশন সেন্টার করব। যারা সমাজবিরোধী, সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে এবং এমন অপরাধ যার ফলে সমাজে আতঙ্ক তৈরি হয় তারা সবাই এটার আওতায় আসবে।’
গত শুক্রবার রাতে গাজীপুরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালায় একদল ছাত্র–জনতা। এ সময় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি তাঁদের কয়েকজনকে আটক করে মারধর করেন। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি, ছাত্র–জনতার ওপর হামলাকারীরা ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সমর্থক। তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার গাজীপুরে সমাবেশও করেছে তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের পর গাজীপুরসহ সারাদেশে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছে ডেভিল হান্ট।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে গাজীপুরে ছাত্রজনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় শনিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও সন্ত্রাসী দমনে এই অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, শনিবার থেকেই গাজীপুরে শুরু হবে অভিযান। পরে অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।