আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মেঘ না চাইতে জলের মতো উত্তর প্রদেশের এক শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল টাকা। তাও আবার হাজার বা লাখ নয়, একেবারে ২২১ কোটি টাকা। কিন্তু বিপুল অংকের এই লেনদেনের বিন্দু বিসর্গ জানতেন না তিনি। ঘুম ভাঙল আয়কর দপ্তরের নোটিস পেয়ে। যা নিয়ে এখন রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে তাঁকে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের লালগঞ্জ থানার অন্তর্গত বর্তানিয়া গ্রামে। সেখানকার বাসিন্দা শিব প্রসাদ নিশাদ নামে এক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কয়েকদিন আগে ওই বিপুল অংকের টাকা ঢোকে। কিন্তু সেবিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। কিছুদিন আগে তাঁর কাছে আয়কর দপ্তরের নোটিস আসে। যেখানে উল্লেখ করা হয় তাঁর অ্যাকাউন্টে রয়েছে ২,২১,৩০,০০,০০৭ টাকা। যার কারণে তদন্তের জন্য তাঁকে কাছাকাছি কোনও আয়কর অফিসে ২০ অক্টোবরের মধ্যে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে বিপুল এই অর্থের পরিমাণ দেখে তো চোখ কপালে ওঠে নিশাদের। কারণ এবিষয়ে তিনি এতদিন কিছু জানতেনই না। উলটে বিপাকে পড়তে হয়েছে তাঁকে। যা নিয়ে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, “আমি পেশায় একজন শ্রমিক। বড় অংকের টাকার জন্য আয়কর দপ্তর আমাকে নোটিস পাঠিয়েছে। কিন্তু ওই টাকার বিষয়ে আমার কোনও ধারণা নেই। কীভাবে ওই টাকা এসেছে তা আমি জানি না।”
সুস্মিতা সেনের পূজামণ্ডপে কোমরে শাড়ি বেঁধে নাচার ভিডিও ভাইরাল
এর পর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিশাদ জানান, কয়েক বছর আগে তাঁর প্যান কার্ড খোয়া যায়। ফলে এই শ্রমিকের আশঙ্কা কেউ তাঁর প্যান কার্ডের অপব্যবহার করে ওই টাকা অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লালগঞ্জ থানার পুলিশ। অন্যদিকে, হঠাৎ পাওয়া অর্থের জন্য এখন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উত্তর প্রদেশের এই শ্রমিককে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।