জুমবাংলা ডেস্ক : জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ডিসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. জিয়া উদ্দিন আহমেদের কক্ষ থেকে ৩ কোটি টাকার একটি চেক উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ডিসি পদে নিয়োগ পাওয়া এক কর্মকর্তার পক্ষে ব্যবসায়ী মো. মীর্জা সবেদ আলী এই চেক প্রদান করেন। তবে কাঙ্ক্ষিত জেলায় পদায়ন না হওয়ায় চেকটি নগদায়ন করা হয়নি।
গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানায়, এবারের ডিসি নিয়োগে অর্থের বিনিময়ে পদায়নের অভিযোগে পাঁচজন কর্মকর্তার কাছ থেকে অন্তত ১৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া, উদ্ধারকৃত একটি চিরকুটে ডিসি নিয়োগের জন্য ৫৮২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০৬ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করার তথ্য রয়েছে।
ব্যবসায়ী মীর্জা সবেদ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে ড. জিয়া উদ্দিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তার মাধ্যমে সাবেক দুদক কর্মকর্তা মো. আব্দুল আউয়ালের ডিসি পদে নিয়োগের জন্য ৩ কোটি টাকার চুক্তি হয়। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত জেলায় পদায়ন না হওয়ায় চেক নগদায়ন করা হয়নি।
এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়াল চেকদাতাকে চেনেন না এবং ড. জিয়া উদ্দিনের সঙ্গে তার কোনো পরিচয় নেই বলে জানিয়েছেন। ঘটনাটি নিয়ে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।