জুমবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন মাসুক মিয়া। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের করগাঁও গ্রাম থেকে বোরকা পরা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে সিলেট জেলা পুলিশ। ১৯৯০ সালে একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয় সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার করগাঁওয়ের মাসুক মিয়ার। সাজা এড়াতে প্রথমে ভারত ও পরে সৌদি আরব পাড়ি দেন তিনি।
এর মধ্যে তার চেহারায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে। তবে পুলিশের কাছে খবর ছিল ছদ্মবেশে প্রায়ই দেশে আসেন মাসুক। গোপনে এলাকাতেও আসেন। এমন খবরের ভিত্তিতেই ৩৩ বছর আত্মগোপনে থাকা মাসুককে আটক করতে সক্ষম হয় গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আটকের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( গোলাপগঞ্জ সার্কেল) সুদিপ দাশ জানান, মাসুম মিয়ার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল উপজেলার করগাঁওয়ের আব্দুস সালামের। এই বিরোধের জেরে প্রায় ৩৩ বছর আগে আব্দুস সালামকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপুর্যুপরি কুপিয়ে পালিয়ে যান মাসুক মিয়া। এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং- ০৮(০৪)৯০, তারিখ ১৩/০৪/১৯৯০। মামলার বিচারে মাসুক মিয়ার যাবজ্জীবন সাজা হয়। তবে প্রথম থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে ভারতে আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান নেন মাসুক মিয়া। সেখান থেকে সৌদি আরব পাড়ি জমান তিনি। তবে গোপনে তার এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। নানান ছদ্মবেশে এলাকায় আসতেন। সম্প্রতি বোনের কুলখানিতে যোগ দিতে এলাকায় এসেছেন বলে খবর থাকলেও ছদ্মবেশের কারণে তাকে গ্রেপ্তার করতে বেগ পেতে হচ্ছিল। সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাসুক মিয়া করগাঁও গ্রামের চরন মিয়ার ছেলে। নিহত আব্দুস সালাম একই গ্রামের হাছন আলীর ছেলে।
১২ হাজার টাকায় দুর্দান্ত ফিচারের স্মার্টফোন নিয়ে হাজির ইনফিনিক্স
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিকে শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।