আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লম্বায় ৪৬ ফুট, উচ্চতায় প্রায় ২২ ফুট, চওড়া ১৯ ফুট। প্রতিটি চাকার জন্য আলাদা আলাদা ইঞ্জিন। না, জটায়ু বিরোচিত প্রখর রুদ্রের গাড়ির কথা হচ্ছে না। এ গাড়ির নাম ‘হামার’।
দুবাইয়ের রাস্তায় এই ‘হামার’ দেখে ভির্মি খাওয়ার অবস্থা লোকজনের। এমনকি গাড়ি দেখে ভ্যাবাচাকা খেয়ে গিয়েছেন স্বয়ং ট্রাফিক কর্তারাও। আদর করে অনেকেই একে ‘হামজিলা’ বলেও ডাকেন। জানা গিয়েছে গাড়িটির মালিকের নাম শেখ হামাদ বিল হামদান অল নাহইয়ান। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্ষমতাসীন রাজ পরিবারের সদস্য।
গাড়িপ্রেমীরা জানেন, হামার এমনিতেই ছোটখাটো ব্যাপার নয়। সাধারণত এই ব্র্যান্ডের গাড়ি লম্বায় হয় ১৫.৩৭ ফুট, উচ্চতায় ৬.৪২ ফুট এবং ৭.২ ফুট চওড়া হয়। কেবলমাত্র ‘স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল’ (এসইউভি) তৈরির জন্য বিখ্যাত এই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা। তবে যে গাড়িটি দুবাইয়ের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে, তাকে গাড়ি না বলে ‘দৈত্য’ বলাই যথার্থ। এ গাড়িটির পোশাকি নাম ‘হামার এইচ ওয়ান এক্স থ্রি’।
গাড়িটি লম্বায় ৪৬ ফুট, উচ্চতা ২১.৬ ফুট এবং ১৯ ফুট চওড়া। গাড়ির চারটি চাকার প্রতিটির জন্য রয়েছে পৃথক ইঞ্জিন। অর্থাৎ, প্রকৃত অর্থেই ‘ফোর হুইলার’। ডিজেল পুড়িয়ে পথে দাপিয়ে বেড়ায় দোতলাসমান গাড়িটি। অবশ্য মাইলেজ কত তা জানা যায়নি। তবে জানা গিয়েছে, বিশেষ বরাত দিয়ে এই গাড়িটিকে তৈরি করিয়েছেন ২ হাজার কোটি ডলার সম্পত্তির মালিক শেখ হামাদ।
‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই গাড়ির ভিতরে রয়েছে দোতলা ব্যবস্থা। শোওয়ার ঘর, শৌচালয়, স্টিয়ারিং কেবিন— সব মিলিয়ে বাড়ি না গাড়ি, বোঝা মুশকিল। সম্প্রতি এই হামারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে একটি রাস্তায় হামারটি দাঁড়িয়ে আছে। সামনে দাঁড়িয়ে দু’টি পুলিশের গাড়ি। বাজছে সাইরেন।
হামারের সামনে কয়েক জন পুলিশকর্মীকে ছোটাছুটি করতেও দেখা যাচ্ছে। কিন্তু প্রমাণ বহরের মানুষ ওই গাড়ির সামনে যেন লিলিপুট!
দুবাইয়ের শেখ হামাদের গাড়ির শখ। তার নিজের সংগ্রহে রয়েছে ৩ হাজার গাড়ি। কোনওটিই সাধারণ নয়। বরং সব ক’টিই কোনও না কোনও রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। শেখ গাড়িগুলিকে রেখে দেন নিজের তৈরি করা মিউজিয়ামে। দুবাই ছাড়াও মরক্কো-সহ একাধিক দেশে রয়েছে সেগুলি।
জমিতে বাম্পার ফলন হলো কুমকুম ঢেঁড়সের, কৃষকের ঘরে আনন্দের জোয়ার
ধনী মহলে শেখ হামাদের পরিচয় ‘রামধনু শেখ’ হিসাবে। কারণ, তিনি নাকি ১৯৯০ সালে রামধনুর সাত রঙের সঙ্গে মিলিয়ে সাতটি মার্সেডিজ এস শ্রেণির গাড়ি বিয়ের উপহার হিসাবে তৈরি করে দিতে জার্মান সংস্থাকে বরাত দিয়েছিলেন। এ বার তার পাহাড়প্রমাণ হামার দেখে হতবাক হওয়ার পালা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।