জুমবাংলা ডেস্ক : শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়া-২ থেকে পূর্ব নাওডোবা গণির মোড় পর্যন্ত সড়কের দূরত্ব তিন কিলোমিটার। চার কোটি টাকা ব্যয়ে এই সড়ক সংস্কার করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। তবে বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই উঠে গেছে কার্পেটিং। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদের। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি সড়ক সংস্কারে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
জেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সড়কটি সংস্কারের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড। ৬ ফুট বাড়িয়ে সড়কটির প্রস্থ করা হয় ১৮ ফুট। মূল ঠিকাদার থেকে নিয়ে কাজটি করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ উজ্জামান। দুই সপ্তাহ হয়নি সড়কটির কার্পেটিং শেষ করা হয়েছে। এখনো ঠিকাদার এলজিইডিকে কাজ বুঝিয়ে দেননি। এরই মধ্যে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে যেতে শুরু করেছে। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে এলজিইডির সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদার মিলে উঠে যাওয়া কার্পেটিংয়ের স্থানে ফের কার্পেটিং করছেন।
গত বুধবার সড়কটির বিভিন্ন স্থানে উঠে যাওয়া কার্পেটিং নতুন করে কার্পেটিং করতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বুধ ও বৃহস্পতিবার কাজ করা হয়েছে। নতুন করে কার্পেটিং উঠে গেলে সেখানে আবার কার্পেটিং করা হবে।
স্থানীয় মনির হোসেন অভিযোগ করেন, ঠিকাদার সড়কটির কার্পেটিং করার সময় পুরোনো ইট, খোয়া ও নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করেছেন।
ঠিকাদার ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ উজ্জামান বলেন, ‘সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি।’
জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রাফেউল ইসলাম বলেন, ‘সড়ক সংস্কারে অনিয়ম হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।