জুমবাংলা ডেস্ক : চার বছর আগে ফেসবুকে পরিচয়। এরপর প্রেমের সম্পর্ক দুজনের। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকার কাছ থেকে হাতিয়ে নেন অর্থ। আর বিয়ের কথা বলতেই এড়িয়ে যান প্রেমিক। পরে বাধ্য হয়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে ৪ দিন ধরে অনশনে বসে আছেন ওই প্রেমিকা। তবে তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে, সুযোগ বুঝে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় প্রেমিক ও তার পরিবার।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী তরুণী জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ৪ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে শরীয়তপুর শহরের দক্ষিণ বালুচরা এলাকার আইসক্রিম কারখানার মালিক আবুল কালাম সরদারের ছোট ছেলে সুজন সরদার ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ২০ বছর বয়সী একই কলেজ শিক্ষার্থীর।
এরপর তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতেন। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে অর্থ দাবি করে প্রেমিক সুজন। প্রেমিকাও বোনের গহনা বিক্রি করে প্রেমিক সুজনের হাতে তুলে দেয় অর্থ। হঠাৎ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পর ওই তরুণীকে বিয়ে করতে তালবাহানা শুরু করে সুজন। পরে বাধ্য হয়ে প্রেমিকের বাড়িতে গত মঙ্গলবার থেকে অনশনে বসে আছেন ভুক্তভোগী প্রেমিকা। এদিকে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় প্রেমিকের গোটা পরিবার। তবে ভুক্তভোগী তরুণীর দাবি, তাকে বিয়ে না করলে প্রেমিকের বাড়িতেই আত্মহত্যা করবেন তিনি।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী আরও বলেন, সুজন আমাকে বিয়ের কথা বলে টাকা চেয়েছিল। আমি আমার বোনের গহনা বিক্রি করে ওকে টাকা দিয়েছি। এখন আমি বিয়ের কথা বললে আমাকে এড়িয়ে যায়। তার বাধ্য হয়ে ওর বাসায় এসেছি। ওর ভাই আমাদের কোর্ট ম্যারেজ করাবে বলে আমাকে নিয়ে রাস্তায় রেখে পালিয়ে যায়। আমি চাই সুজন আমাকে বিয়ে করুক। নয়তো আমি এখানেই আত্মহত্যা করবো।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হবে। ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।