জুমবাংলা ডেস্ক : হবিগঞ্জ সদরে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রহিমা খাতুন নামের এক নারী মারা যাওয়ায় ঘটনায় করা মামলায় চিকিৎসকসহ চারজনের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন।
অভিযোগ রেয়েছে রোগীর টিউমার অপারেশনের সময় খাদ্যনালী, জরায়ু এবং বামপাশের কিডনি কেটে ফেলা হয়।
মঙ্গলবার(১৪ নভেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো.সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল হালিম কাফী।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি জানান, এ মামলায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, হাসপাতালের মালিকের ছেলে ও ম্যানেজারসহ ৪ জন আগাম জামিনের জন্য এসেছিলো। আদালত জামিন না দিয়ে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় হাজতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি জানান, চিকিৎসকের বিষয়ে আদালত বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন করে তিন দিনের মাথায় রিলিজ দিয়েছেন। এটা চিকিৎসকের কর্তব্যে অবহেলা। আর ক্লিনিকের মালিক সম্পর্কে বলেছেন, হসপিটালে সেবার নামে তারা ব্যবসা খুলে বসেছেন। এ ধরনের ব্যবসা জাতির উদ্দেশ্যে তুলে ধরা দরকার, যাতে ভবিষ্যতে মানুষ সেবার নামে ব্যবসা থেকে বিরত হয়। রোগীরাও যাতে সচেতন হয়।
আদালতের জিজ্ঞাসার জবাবে চিকিৎসক বলেছেন, জরায়ু, খাদ্যনালী ও কিডনি কাটেননি।
এ ঘটনায় রহিমার এক আত্মীয় ২৪ অক্টোবর হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডাক্তার ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ৯ সেপ্টেম্বরে হবিগঞ্জে আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন রহিমা আক্তার। পরে তাকে স্বল্প খরচে উন্নতমানের চিকিৎসার আশ্বাসে বেসরকারি দি জাপান বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে রহিমার পেটে থাকা টিউমার অপসারণের জন্য অপারেশন করা হয়। ডা.এস কে ঘোষের তত্ত্বাবধানে থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর তাকে ছাড়পত্র দেন। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসর জন্য ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর দেখা যায় রহিমার টিউমার অপারেশন করার সময় জরায়ু, খাদ্যনালী ও বামপাশের কিডনি কেটে ফেলা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ অক্টোবর রহিমা মারা যান।
মামলায় আসামিরা হলেন, ডাক্তার এসকে ঘোষ, হবিগঞ্জের জাপান বাংলাদেশ হসপিটালের পরিচালক একে আরিফুল ইসলাম, পরিচালক তাবির হোসেন ও ব্যবস্থাপক জনি আহমেদ ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।