জুমবাংলা ডেস্ক : বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এই অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৪০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে সর্বোচ্চ ৩৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পাশাপাশি এই সময়ে টেকনাফে ২৩৪, পটুয়াখালীতে ১৭৪, খেপুপাড়ায় ১০০, সন্দ্বীপে ৫৭ মিলিমিটার ছাড়াও বরিশালে ৬৪, বান্দরবানে ৪৭ মিলিমিটারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া সংস্থাটি। তবে এই সময়ে রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টি হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী তিন দিন দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে এই সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। শুক্রবার আবহাওয়ার এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্বাংশ ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে তা একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, লঘুচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘ সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় দেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।